একদিকে অক্ষয় কুমার যেমন বলিউডের প্রথম সারির জনপ্রিয় অভিনেতা, তেমনি অন্যদিকে রবিনা ট্যান্ডনের গ্ল্যামারেও কিন্তু মাতোয়ারা বলিউড। আর এই দুজনের প্রেমের সম্পর্ক একসময় বলিউডের হট টপিক ছিল। শুধু প্রেম নয়, তাদের বাগদান হয়ে গিয়েছিল বলেও বিটাউনে গুঞ্জন আছে। তবে বিয়ে পর্যন্ত সেই সম্পর্ক এগোয়নি, তার আগেই তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। বলিউডে একসময় হিট জুটি ছিল অক্ষয় কুমার এবং রবিনা ট্যান্ডন। একসাথে বহু সুপারহিট ছবি দর্শক দের উপহার দিয়েছে এই জুটি। অনস্ক্রিনের পাশাপাশি অফস্ক্রিনেও তাদের কেমিস্ট্রি ছিল দারুণ জমজমাট। তাদের অফস্ক্রিন প্রেমের কেমিস্ট্রি এতটাই গাঢ় ছিল যে তাদের বাগদান হয়েছিল এবং সে কথা দুজনে স্বীকারও করেছিলেন। তবে তারপরই হঠাৎ তারা আলাদা হয়ে যান একে অপরের থেকে।
রাজেশ খান্নার মেয়ে টুইংকেল খান্নাকে বিয়ে করেন অক্ষয়। অন্যদিকে রবিনারও বিয়ে হয় অনিল ঠান্ডানির সাথে। অক্ষয় সম্পর্কে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যও করেছেন রবিনা। তিনিঅক্ষয়কে একেবারেই ভরসা করেন না বলেও জানিয়েছেন রবিনা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘অক্ষয়ের সামনে যে মেয়েই আসুন না কেন, সে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসত। কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর তাঁর প্রতি বিশ্বস্ত থাকাটাই আসল। আমার কাছে সেটাই বড় ব্যাপার। তবে অক্ষয়ের কাছে এ সবের কোনও মূল্য নেই। ও আশা করে, প্রতি বারই আমি ওকে মাফ করে দেব। প্রায় তিন বছর ধরে সে রকমই করে এসেছিলাম। তবে শেষের দিকে আর নিতে পারছিলাম না!’’ অক্ষয়ের প্রতি তার বিদ্বেষী মনোভাব এখনও বজায় রয়েছে।
রবিনার পাশাপাশি অক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে পেজ থ্রির পাতায় উঠে এসেছিলেন পুজা বাত্রা, শিল্পা শেট্টি, টুইংকেল খান্নার নামও। বলিউড অভিনেত্রী রেখার নামও বাদ যায়নি এই তালিকা থেকে। ‘খতঁরো কে খিলাড়ি’ ছবির সময় রেখার সঙ্গে অক্ষয়ের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। সেই সময়ে রেখার সম্পর্কে রবিনা বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয় না, অক্ষয়ের সঙ্গে রেখার সম্পর্ক ছিল। উল্টে রেখার থেকে দূরে পালাত অক্ষয়। ওই ফিল্মের জন্যই রেখাকে সহ্য করতে হত। এক সময় তো অক্ষয়ের জন্য বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার নিয়ে আসতে চেয়েছি্লেন রেখা। সে সময়ই আমি বাধা দিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, উনি বড্ড বাড়াবাড়ি করছেন।’’
অক্ষয় এবং রবিনার বিয়ের কথা উঠলো মহিলা ভক্তদের কাছে জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে। এমন আশঙ্কায় বিয়ের কথা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন অক্ষয়। রবিনা তাতেও রাজি হয়েছিলেন। নিতান্তই সাদামাটাভাবে তাদের বাগদান অনুষ্ঠান হয়েছিল। রবিনার কথায়, ‘‘আচমকাই ঠিক করেছিলাম, বাগদানের অনুষ্ঠান করব। আমিও সব ছেড়েছুড়ে সকলের মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চেয়েছিলাম। বিয়ের আগে থেকেই অভিনয় ছেড়ে দেব বলেও স্থির করেছিলাম। অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমার আর অক্ষয়ের পরিবার দিল্লি থেকে এসেছিল।’’
যদিও পরে অবশ্য সম্পর্কটাই ভেঙে যায়। এ সম্পর্কে বহুদিন চুপ থেকে শেষমেষ অক্ষয় সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘‘আমার এবং রবিনার কেবলমাত্র বাগদান হয়েছিল। যা পরে ভেঙে যায়। কিন্তু মাফ করবেন, আমার কখনই বিয়ে করিনি!’’ অক্ষয় দাবি করেন, ‘‘রবিনার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে গেলেও আমরা দীর্ঘ দিন একসঙ্গে কাজ করেছি।’’