ভেজাল খাদ্যদ্রব্যের সন্ধান মিললো কলকাতার উল্টোডাঙার দাসপাড়াতে। ভেজাল খাদ্যের সন্ধানে এবং বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সারা শহর জুড়ে টহল দিয়ে বেড়াচ্ছে। আর তা করতে গিয়েই কার্যত এক ডালমিলে ভেজাল কারবার ধরে ফেলেছে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, পাথরের গুঁড়ো ব্যবহার করে ডাল পালিশের কাজ চলতো ওই ডালমিলে।
পাথরের গুঁড়ো দিয়ে ডাল পালিশ করলে সেই ডাল চকচক করে। যার ফলে বাজারে বিক্রি করতে সুবিধা হয়। সেই কারণে এই বেআইনি কার্যকলাপ শুরু করে ডালমিলের মালিকেরা। এর আগে ওই একই এলাকায় মুগডাল পালিশের অভিযোগ উঠেছিল একটি ডাল মিলের বিরুদ্ধে। এবার সেই একই অভিযোগ উঠল ডালমিলের মালিক বিশাল জয়সওয়াল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৩এ/২৮ আরিফ রোডের ডালমিলে হানা দিয়ে মুসুরির ডাল পালিশের বেআইনি কার্যকলাপ হাতে নাতে ধরে ফেলে পুলিশ।
ওই ডালমিলের মালিকের দাবি, ডাল রান্না করার আগে যখন জল দিয়ে ডাল ধোওয়া হয়, তখনই এই পাউডারের মত পদার্থ ধুয়ে যায়। ফলে এই পাউডার মানুষের শরীরে যায় না। যার ফলে মানুষের কোনো ক্ষতি হয় না। যদিও তার দাবি এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের মনে ধরেনি। অভিযুক্তের ডালমিল থেকে পালিশ করা এই ধরনের ৩৪৭ টি মুসুরির ডালের বস্তা উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিটি বস্তার ওজন ৩০ কেজি। অভিযুক্ত ওই ডালমিলের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরে গবেষক ডক্টর প্রশান্ত বিশ্বাস জানালেন বর্ষাকালে বা অন্য কোন সময় ডালের মধ্যে এক ধরনের ছত্রাক জন্মায়। এই ছত্রাক মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত অপকারী। কারণ এর মধ্যে আফ্লাটক্সিন নামের একটি কারসিনোজেন থাকে যা আদতে ক্যান্সার সৃষ্টি করে। এইভাবে পালিশ করলে বাইরে থেকে তা বোঝা যায় না এবং সকলের অজান্তেই খারাপ ডাল থেকে আফ্লাটক্সিন মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ সৃষ্টি করে।