কোলে শিশু কন্যাকে নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প রূপশ্রীর টাকা হাতাতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক মহিলা। রূপশ্রী প্রকল্পের আওতায় অবিবাহিতা মহিলাদের বিয়ের জন্য এককালীন ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেয় রাজ্য সরকার। এই টাকা কেবলমাত্র অবিবাহিতা মহিলাদেরই প্রাপ্য। অথচ বিবাহিতা হয়েও বেআইনিভাবে সরকারি টাকা হাতাতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন ওই মহিলা।
গত মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের ব্লক অফিসে হাজির হন নেহা পারভিন নামের এক মহিলা। সঙ্গে ছিল তার এক বছরের শিশুকন্যা। বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নিতে এসেছিলেন ওই মহিলা। তবে ব্লক অফিসের কর্মচারীদের সন্দেহ হওয়াতে তারা এই বিষয়ে ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রথমে অবশ্য অস্বীকার করলেও পরে জেরার মুখে পড়ে তিনি সত্যিটা স্বীকার করে নিতে বাধ্য হন।
এর পরেই পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বিবাহিত এবং এক সন্তানের জননী নেহা পারভীন নিজেকে অবিবাহিতা বলে পরিচয় দিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নেওয়ার জন্য নাম লেখাতে এসেছিলেন। তবে তার কোলে শিশু সন্তানটিকে দেখেই সন্দেহ হয় ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের। নেহাকে দীর্ঘক্ষন নানাভাবে প্রশ্ন করে তারা জানতে পারেন তিনি আদতে বিবাহিতা এবং কোলের শিশুটি তারই সন্তান।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বেআইনিভাবে সরকারি টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে নেহার বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এর আগে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নিয়ে দালাল চক্র সক্রিয় হওয়ার খবর মিলেছিল মালদাতে। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক সপ্তর্ষি নাগ জানিয়েছেন সরকারি টাকা নয়ছয় করলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হবে না।