সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ও আচ্ছা! এই তিন কারণে ঘূর্ণিঝড়ের না’ম মেয়েদের নামেই রা’খা হয়ে থা’কে

বর্তমান সমাজে ঘূর্ণিঝড় সেই রকম কোন ঘটনা নয়। প্রতিবছর কোন না কোন ঘূর্ণি ঝড়ের দাপটে আমাদের জীবন বিধ্বস্ত হয়ে যায়। প্রত্যেকটি ঘূর্ণিঝড়ের কোনো-না-কোনো নামকরণ করে কোন না কোন দেশ। কিন্তু কখনো কি লক্ষ্য করেছেন? বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড়ের নাম কেন কোন মেয়েদের নামের আঙ্গিকে রাখা হয়েছে? আগেই বলে রাখা ভালো, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে, যে মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়, তার অববাহিকায় অবস্থিত দেশগুলি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে। ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করার দায়িত্বে রয়েছে ১৩ টি দেশ, যার মধ্যে রয়েছে ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, সৌদি আরব, শ্রীলংকা, কাতার, ওমান।

এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় কোন না কোন মহিলাদের নামের ভিত্তি করে? ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন,১৯৫০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছে, তার প্রত্যেকটি ছিল মেয়েদের নামে। ঝড়ের নাম মেয়েলি হলে মানুষ অনেকটাই হালকাভাবে নেয়, অন্যদিকে পুরুষবাচক নামের ঝড় গুলির ক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক হয়ে যায় মানুষ।

১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকার সেনাবাহিনী এবং আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা প্রথম মহিলাদের নামে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করতে শুরু করেছিলেন। সেই সময় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ এর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ নিয়ম মেনে চলছেন তারা। সেই সময় ঘূর্ণিঝড় যদি বছরের প্রথমে হতো তখন A দিয়ে তার নামকরণ রাখা হতো। একইভাবে বছরের দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হতো B দিয়ে। ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ এর ক্ষেত্রে সব সময় গুরুত্ব দেওয়া হতো মহিলাদের নামের দিকে।

যেহেতু মহিলাদের নাম খুব সহজে মনে রাখা যায়, মহিলাদের স্বভাবের সঙ্গে অনেকেই মজা করে ঘূর্ণিঝড়ের তুলনা যেহেতু করেন, তাই বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় মেয়েদের নামে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, আবহাওয়াবিদদের এইরকম সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন একদল মহিলা। কেন সব সময় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ মহিলাদের নামে হবে, তা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অনেকেই।