পেট্রোল-ডিজেলের দামের জন্য বিকল্প হিসেবে বৈদ্যুতিক গাড়িকে অনেকেই ব্যবহার করছেন। পেট্রোল এবং ডিজেলের গাড়ি থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম অনেক বেশি হলেও অনেকেই বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার দিকে ঝুঁকেছেন। যারা বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে চান না তবে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানির খরচ বাঁচাতে চান, তারা এবারে বৈদ্যুতিক কিট ব্যবহার করে রোধ করতে পারবেন পরিবেশ দূষণ।
পেট্রোলের গাড়িতে যে পদ্ধতিতে সিএনজি কিট বসানো হয়, ঠিক সেই একই পদ্ধতি অবলম্বন করে ডিজেল গাড়িতেও ইলেকট্রিক কিট বসানো সম্ভব। দেশের বেশ কিছু রাজ্যে ডিজেল গাড়িতে বৈদ্যুতিক কিট বসানোর কাজ শুরু হলেও সব রাজ্যে এখনও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।১০ বছরের পুরনো ডিজেল গাড়িতে ইলেকট্রিক কিট বসানোর অনুমতি দিয়েছে দিল্লি সরকার।
তবে, বৈদ্যুতিক কিট ডিজেল গাড়িতে বসানো কতটা ব্যয়বহুল সে বিষয়ে একটি ধারণা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, মোটামুটি পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হয় ডিজেল গাড়িতে বৈদ্যুতিক কিট বসাতে। একবার গাড়ি চার্জ দেওয়ার পরে গাড়ির রেঞ্জ ২০০ থেকে ২৫০ কিলোমিটার হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। ব্যয়বহুল এই প্রক্রিয়াকে এড়িয়ে চলেন অনেকেই।
সাধারনত ডিজেল গাড়িতে বৈদ্যুতিক কিট স্থাপন করার পরিবর্তে পুরনো গাড়ি বিক্রি করে নতুন গাড়ি কিনতে পছন্দ করেন আমজনতা। তবে এরকম অনেকেই আছেন, যারা ইলেকট্রিক কিট ইন্সটল করতে চান পুরনো গাড়িতে।