সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গরম জলে বা গরম দুধে মধু মেশাবেন না কখনই, হি’তে বি’প’রী’ত হ’তে পারে আপনার!

মধু এমন একটি ঔষধি গুণ সম্পন্ন জিনিস যা হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক ভাবে এই পদার্থের অনেক উপকারিতা আছে। মধু খেলে অন্ত্র পরিষ্কার হয়, কণ্ঠনালীর অস্বস্তি প্রশমিত হয়, ত্বকের সমস্যা এবং সাইনাস এর উপসর্গ দূর হয়ে যায়। বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে তাকে মধু খেলে সর্দি কাশি থেকে মুক্ত থাকে সে।

অনেকেই চা এবং দুধের সঙ্গে চিনির বিকল্প হিসেবে মধু ব্যবহার করে থাকে। সার্বিক শাস্তির জন্য মধু ভীষণভাবে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো, সর্দি কাশির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়া, সবকিছুই করে মধু। এরমধ্যে থাকে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ভিটামিন এ, বি, সি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের মত পুষ্টি উপাদান। এগুলি আমাদের শরীরকে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সকালে অনেকেই ঘুম থেকে উঠে গরম জলে মধু মিশিয়ে খান, অনেকেই মনে করেন এতে শরীর ভালো থাকে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এই ধারণাটি যদি আপনি মনে পোষণ করেন তাহলে আজকেই বন্ধ করে দিন। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করা মনে করেন, এইভাবে আপনি মধু পান করলে রীতিমতো বিষ পানের সমান হয়।

প্রত্যেকদিন স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য আপনি যা পান করেন, একপ্রকার গরলের সমান। তাপ আকারে মধু খাওয়া শরীরের পক্ষে যথাযথ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, গরম জিনিস এর সঙ্গে মধু ব্যবহার করতে বারবার নিষেধ করেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, মধু তখনই উপকারী যখন এটি প্রাকৃতিক অবস্থায় থাকে। গরম মধু হজম প্রক্রিয়ায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। গরম করা মধু ধীরে ধীরে শরীরে মিশে যায় এবং এক প্রকার বিষে পরিণত হয়। এইনিয়মটি বাজার থেকে কেনা মধুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এটি ব্যাপকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংরক্ষণ করা হয় প্লাস্টিকের পাত্রে। তাই এটি গরম করার পরে আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্থ করে দেয় শরীরকে।

মধু খাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হল এটি কাঁচা খেতে হবে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে মধু দিয়ে যদি এক গ্লাস দুধ পান করতে চান তাহলে নিশ্চিত করতে হবে সেই দুধ ঠান্ডা আছে কিনা। পুরোপুরি ঠাণ্ডা থাকলে তবেই মিশিয়ে দিতে পারেন এক চামচ মধু। মধুর তাপমাত্রা ১৪০ ডিগ্রির কম হয় যা দুধের গ্লাসের থেকে অনেক কম। যখন গরম দুধে মধু মেশান, তখন এর উপাদান গুলি বিষাক্ত হয়ে ওঠে এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়।