দীর্ঘ ৬ বছর পর SSC শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হতে চলেছে। গত বৃহস্পতিবার সরকারের বর্ষপূর্তির দিনে কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, শীঘ্রই নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
২০ হাজারেরও বেশি পদে রাজ্য সরকার শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে বলে জানা গেছে। আগের নিয়োগ পক্রিয়ার থেকে এবারে আসছে বদল। School Service Commission এর তরফে জানানো হয়েছে শিক্ষক নিয়োগে এবার থাকবে তিনটি ধাপ।
প্রিলিমিনারি, মেইন, ইন্টারভিউ -এই তিনটি ধাপে যোগ্যতার সহিত পাশ করলে তবেই মিলবে চাকরি। স্কুলশিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, চলতি মাসেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে পারে।
আরো পড়ুন: শক্তি স’ঞ্চ’য় করে ধে’য়ে আসছে “অশনি”, কলকাতায় শু’রু বৃষ্টি
মাধ্যমিক (নবম-দশম) এবং উচ্চ মাধ্যমিক (একাদশ-দ্বাদশ) – এই দুই ধাপের জন্যই আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে। SSC-র প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তি থেকেই জানা যাবে – কবে থেকে ফর্ম ফিলাপ শুরু হবে, তার দাম কত, কবে পরীক্ষা এবং চূড়ান্ত শূন্য পদ কত ইত্যাদি সবই।
সূত্রের খবর, নবম-দশম স্তরে রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার শূন্যপদ। একাদশ-দ্বাদশ স্তরের শূন্যপদ ৬ হাজারের কিছুটা বেশি। ৫ মে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, “দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। মেধার ভিত্তিতে স্বচ্ছভাবে হবে নিয়োগ।”
ইতিমধ্যে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের মেয়াদ বেড়েছে। ৬,৮৬১ টি নতুন পদ তৈরি হয়েছে। নবম-দশম, একাদশ- দ্বাদশ, শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা মিলিয়ে এই সংখ্যক শিক্ষক আলাদাভাবে নিয়োগ করা হবে।
আরো পড়ুন: অরেঞ্জ অ’ন্ত’র্বা’সে শ’রী’র দেখালেন তৃণমূল সাংসদ, ছবি দে’খে হতবাক নে’ট দুনিয়া
যদিও কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে আলাদা তিনটি ক্যাম্পে আন্দোলনকারীরা নিয়োগপত্র না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
উচ্চ প্রাথমিকে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আপাতত মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফে।
আর নিয়োগের কাজে তৈরি হচ্ছে নয়া নিয়ম। School Service Commission সূত্রে খবর, পরীক্ষা হবে OMR Sheet-এ। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। এই পরীক্ষায় পাস করলে বসা যাবে বিষয়ের পরীক্ষায় অর্থাৎ মেইনস্-এ।
আর বিষয়ের পরীক্ষাও হবে ১০০ নম্বরে এবং OMR Sheet-এ। এরপর আছে ১০ নম্বরের ইন্টারভিউ, পাশাপাশি দেখা হবে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতকস্তরে প্রাপ্ত নম্বর। নয়া পদ্ধতিতে পরীক্ষার মূল্যায়ন দ্রুততার সঙ্গে করা যাবে বলে মনে করছে কমিশন এবং সেই সাথে নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষক নিয়োগ আরও স্বচ্ছ হবে।
