Home অফবিট মেসোপটেমিয়া সভ্যতার ধা’র’ক ও বাহক, কেন শু’কি’য়ে যা’চ্ছে প্রাচীন ইউফ্রেটিস নদী?

সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মেসোপটেমিয়া সভ্যতার ধা’র’ক ও বাহক, কেন শু’কি’য়ে যা’চ্ছে প্রাচীন ইউফ্রেটিস নদী?

ঐতিহাসিক নদী ট্রাইগ্রিস ইউফ্রেটিস। এই নদীর তীরে একসময় গড়ে উঠেছিল মেসোপটেমিয়া সভ্যতা। যারা ইতিহাস জানেন তাদের কাছে এই দুটি নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা সুমেরীয় ব্যাবিলনীয় । ইতিহাসের পাতায় এই সংক্রান্ত নানান তথ্য থাকলেও ইতিহাসবিদদের আগ্রহের শেষ নেই। এই সভ্যতার বর্তমান নাম হলো ইরাক। এই নদী আজও বহমান। তবে আগের মতন নদীর সমৃদ্ধি নেই। অনেকটা মরা নদীতে পরিণত হয়েছে টাইগ্রীস ইউফ্রেটিস।

বহু প্রাচীন কালে গবেষকরা এই নদীর নিচে সুরঙ্গ আবিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু সত্যিই কি সেই সুড়ঙ্গের অস্তিত্ব ছিল তা নিয়ে অনেক রকম ধোঁয়াশা রয়েছে। মেসোপটেমিয়া বা ইরাকের প্রাচীন কাহিনীতে উল্লেখ রয়েছে, নদীর নিচেই রয়েছে এক গুপ্ত সুরঙ্গ। সেই সুরঙ্গকে কেন্দ্র করে নানান গল্প কাহিনী প্রচলিত আছে। ইউফ্রেটিস নদীর জলস্তর কমে যাওয়ায় নদীগর্ভে অবশেষে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে সেই সুরঙ্গ। দেখা গেছে নদীগর্ভে লুকিয়ে থাকা সুরঙ্গটি অনেকটাই নিচে নেমে গেছে।

সেই সুরঙ্গের মধ্য থেকে যাওয়ার জন্য রয়েছে এই সিঁড়ি বা ধাপ। বোঝাই যাচ্ছে অনেক প্রাচীন এই লুকিয়ে থাকা সুরঙ্গ। তবে এই সুরঙ্গের নির্মাতা কে কেন এবার তৈরি করা হয়েছিল! তা নিয়ে নানান রকম কাহিনী জল্পনা তৈরি হয়েছে। ব্যাবিলনের রানী সেমিরামিস নদীর বুকে এই গোপন সুরঙ্গ তৈরি করেছিলেন। তিনি নাকি এই সুরঙ্গ যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করতেন এমনটাই গল্প কাহিনীতে বর্ণনা করা হয়।

আরো খবর: দেশের এই তিন ব্যাংক-কে সবথেকে নি’রা’প’দ ঘো’ষ’ণা করলো রিজার্ভ ব্যাংক

নদীর দুই দিকে ছিল প্রাসাদ এই দুই প্রাসাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্যই এই সুরঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল বলেই জানা যায়। আবার অনেকে বলেন দুই প্রান্তের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি সাধনের জন্য এই সুরঙ্গ তৈরি করা হয়। আরো প্রচলিত রয়েছে রানী সেমিরামিস নাকি নদীর উপর দিয়ে নৌকায় বা লঞ্চে করে পারাপার মোটেও পছন্দ করতেন না তাই তার ইচ্ছার জন্যই এমন সুরঙ্গ তৈরি করা হয়।

ইট এবং চুনাপাথর দিয়ে এই সুরঙ্গ নির্মাণ করা হয়েছিল যা নির্মাণ করতে সময় লাগে ২৬০ দিন। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন এই সুরঙ্গের ওই প্রান্তে রয়েছে অন্য এক দুনিয়া। দুনিয়ায় আছে শুধুই রহস্য। সেই সুরঙ্গ দিয়ে নাকি দেবদূতের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। নদী দুটির হত্যা কর্তা বিধাতা তারাই। ইসলামের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ ইউফ্রেটিস নদী নিয়ে নানান রকম ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন তিনি বলেন একসময় নাকি এই নদী শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাবে।

সেই নদীর বুক চিরে সোনায় গড়া পাহাড় তৈরি হবে। পাহাড়ের দখলদারিত্ব নিয়ে মানুষের মধ্যে যুদ্ধ লাগবে বলেও ভবিষ্যৎবাণী করেন তিনি। ইতিহাসবিদরা ধারণা করছেন সেই দিন আর বেশি দূরে নেই। যদিও ইউফ্রেটিস নদীর সুরঙ্গের কাছাকাছি কোন সোনার খনির সন্ধান পাওয়া যায়নি।