সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

“দুয়ারে সরকার” নিয়ে এবার চি’ন্তা’য় বহু গ্রাম পঞ্চায়েত, খ’র’চ নিয়ে টেনশন

দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের জন্য ভীষণভাবে উপকার পেয়েছেন রাজ্যের সমস্ত মানুষ। প্রত্যেকদিন এই সমস্ত ক্যাম্পে উপচে পড়ছে মানুষের ভিড়। লক্ষী ভান্ডার, আধার কার্ড সংশোধন, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড তৈরির জন্য প্রত্যেক দিন বহু মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। কিন্তু এই শিবিরের খরচ নিয়ে এবার চিন্তায় পড়ে গেছেন বহু পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। বেশ কয়েকদিন হতে চলল, প্রতিটি জেলায় এবং গ্রামে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প চলছে। কিন্তু এই ক্যাম্প চালানোর যে অতিরিক্ত খরচ, সেটা মেটাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অনেক জায়গায় আবার একাধিক শিবির তৈরি করা হয়েছে। একাধিক শিবির তৈরি করার জন্য প্যান্ডেল বাঁধা, কর্মীদের খাওয়া খরচ, ইন্টারনেটের বিল, বৈদ্যুতিক বিল মেটাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসনিক কর্তারা। প্রশাসনিক কর্তাদের অভিযোগ, একাধিকবার প্রশাসনের উচ্চ স্তরে অর্থের জন্য অনুরোধ করলেও এখনো পর্যন্ত কোনো অর্থ পাওয়া যায়নি।

সবথেকে শোচনীয় অবস্থা পূর্ব বর্ধমানের পঞ্চায়েত এলাকায়। পূর্ব বর্ধমানের পঞ্চায়েতের সংখ্যা ২১৫। সেখানে দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে একাধিক জায়গায়। অধিকাংশ আধিকারিক দুয়ারে সরকারের শিবিরে ব্যস্ত থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কাজের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনের অনেকে দাবি করেছেন, শিবির আয়োজন করার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন হয়, তা এখনও পাওয়া যায়নি উচ্চ পদস্থ নেতাদের থেকে।

এই প্রসঙ্গে ভাতার পঞ্চায়েতে তৃণমূল এর প্রধান পরেশ চন্দ্র চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শিবির আয়োজন করতে কমপক্ষে তিন লক্ষ টাকা প্রয়োজন। এত টাকা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।অন্যদিকে মেমারির আমাদপুরের তৃণমূলের প্রধান সাধনা হাজরা, বাগিলার প্রধান অরিন্দম ঘোষাল, রায়না ২ ব্লকের বড়বৈনান পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রামচন্দ্র পাল জানিয়েছেন, ‘তহবিলের অবস্থা খুব খারাপ। এর মধ্যে শিবিরের আয়োজন করতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। আর্থিক সহায়তা না করলে ভবিষ্যতে খুবই সমস্যায় পড়ে যাব আমরা।