সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কি জন্য গ্রে’ফ’তা’র ক’রা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে? কারণ দেখিয়ে হলফনামা দা’খি’ল সুপ্রিম কোর্টে

মানিক ভট্টাচার্য এখন এই নামটা সমস্ত সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়ে গিয়েছে। আগে তাঁকে একজন তৃণমূলের নেতা ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি বলেই চিনতো মানুষ, কিন্তু এখন এনার পরিচিতি অনেকটাই বদলেছে। কারণ সম্প্রতি ইডি যা তথ্য প্রকাশ করেছেন আদালতে তার থেকে জানা যায় ঠিক কি পরিমাণে দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এই মানিক। প্রচুর পরিমাণে একটা টাকার অঙ্ক নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়ে যে দুর্নীতির কথা সিবিআই জানান এনার বিরুদ্ধে সেটা থেকেও নিজেকে বাঁচিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও তাঁকে রেহাই দেওয়া হয়। কিন্তু এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর তথা ইডি থেকে রেহাই পায়নি মানিক বাবু। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে গ্রেফতার করার সূত্রেই মানিক ভট্টাচার্য – এর নাম উঠে আসে। অন্যায় ভাবে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। আর এই নিয়ে তদন্ত করতে করতেই আরো অনেক পায় ইডি।

১০ অক্টোবর সিজিও কমপ্লেক্সে রাতভর টানা জেরার পর আর্থিক তছরুপের অভিযোগে মানিককে গ্রেফতার করে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে মানিকের বিরুদ্ধে বয়ানে ‘অসঙ্গতি’র অভিযোগও আনা হয়। এখন বর্তমানে ইডি এর হেফাজতেই রয়েছেন তিনি।

আরো পড়ুন: ফের সানাই বাজবে সিনেপাড়ায়, “কোই মিল গয়া”-র সেই ছোট মেয়ের বি’য়ে!

কিন্তু মানিক ভট্টাচার্য চুপ করে থাকার তো মানুষ নন। তিনি আবারও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি অভিযোগ জানান সুপ্রিম কোর্ট পারমিশন দেওয়ার পরেও কেনো তাকে গ্রেফতার করা হলো। তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, ‘‘কোনও তদন্তে আদালত রক্ষাকবচ দিলে, সেটা সব তদন্তের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিত।

মামলাটি বিচারাধীন অবস্থাতেই কী ভাবে গ্রেফতার করতে পারে ইডি?’’ তবে এই নিয়ে সোমবার কোনও নির্দেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। ফলে মানিকের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে, তার জন্য মঙ্গলবার অবধি অপেক্ষা করতে হবে। এবং আশা করা যায় যা যা তথ্য ইডি পেশ করেছেন তাতে এত সহজে ছাড়া পাবেন না তিনি। তবে কি হবে শেষ অব্দি সেটাই দেখার।