সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ব’ন্যা’র ক’ব’লে মা’ল’দা জেলা! জ’ল’ম’গ্ন এ’কা’ধি’ক গ্রা’ম

বন্যার কবলে মালদা জেলা! জলমগ্ন একাধিক গ্রাম

মালদা,২৩ আগস্ট : জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার জলে প্লাবিত একাধিক গ্রাম। নিজেদের উদ্যোগ কেউ সুরক্ষিত স্থান আবার কেউ ত্রিপলের নিচে দিন কাটাচ্ছেন। সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্র মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন জানান, কালিয়াচক ৩নম্বর ব্লকে কোন বাড়ি ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে তলিয়ে যায়নি। চাষের জমি ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে। তব ওই এলাকার কাজ দেখেন ফারাক্কা ব্যরেজ কতৃপক্ষ। অন্যদিকে রতুয়া ১নম্বর ব্লকে যে জল ঢুকেছ তা ঠিক বন্যা বলা যায় না ওটা প্লাবনের ফলে জল ঢুকেছে।

রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রয়েছে। তবে জল একটু একটু করে কমছে। ৫ থেকে ৭ দিন যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আমরা অনেকটাই ওভারকাম করতে পারবো। তাহলে এই বছরের মত জল আটকাতে পারব। তবে উদ্বেগের বিষয় রয়েছে। আগামী দিনে যদি বন্যা নিয়ে নতুন করে না ভাবা হয় তাহলে বছরের পর বছর তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। যেমন রতুয়া ও ভূতনির অবস্থা খারাপ রয়েছে। সেই জন্য ইতিমধ্যে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও মন্ত্রিরা আলোচনা করেছি। যে নতুন চিন্তা ভাবনা নিয়ে বর্ষার পরে বাঁধ গুলোকে কিভাবে সংস্কার করা হবে। নতুন চিন্তা নিয়ে আমরা বিহারের সাথে সংযুক্ত হয়ে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করব। কারণ ভুতনি যেমন পশ্চিমবঙ্গের মালদার একটা অংশে পড়ে তেমনি বিহার একটা অংশ পরে। সেক্ষেত্রে বিহারও কিন্তু ভুক্তভোগী। ফলে যৌথভাবে আলোচনা করে আমরা এটা সমস্যার সমাধান করব।

কোশিঘাট এলাকায় যে রিংবাঁধ রয়েছে বর্তমানে তা আটকানো সম্ভব নয়। আগামীদিনে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে রিং বাধ সংস্কারের কাজ করা হবে। যে সমস্ত জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা আমাদের অধীনে নয়। সেটি রয়েছে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের অধীনে। ফারাক্কা ব্যারেজের অধীনে ডাউনে ৬.০৯ ও আপ স্ট্রিমে ১১ কিলোমিটার। সেখানে ভাঙ্গনের কবলে প্রায় ৩০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই জায়গাটি আমরা ধরে রাখতে পারবো না। সেই ব্যাপারে আমাদের একটি বিশেষ দল দিল্লি যাচ্ছে ফারাক্কা ব্যারেজের ব্যাপারে। সেখানে যাতে ড্রেজিং করা হয় সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাবে। রতুয়া, বিলাইমারিতে জল ঢুকেছে। কিছু প্রাইমারি স্কুল ও পঞ্চায়েত দপ্তরের জল ঢুকেছে। তবে জল কমতে শুরু করেছে। তবে এটাকে বন্যা বলবো না কারণ নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত জল পৌছলে বন্যা ঘোষণা করা হয়। এখনো সেই স্তর পর্যন্ত জল পৌঁছায়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বনলতা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে।