বাংলার নতুন বছর পড়তে আর খুব বেশি দেরী নেই। নতুন বছর আসার আগে ঘর বাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন অনেকেই। সংসারে সুখ সমৃদ্ধি বজায় রাখতে শাস্ত্র অনুযায়ী কাজ করা হয়। সেই শাস্ত্রেই উল্লেখ আছে রান্না ঘরের বাস্তু তন্ত্রের কথা।
চৈত্রমাসে রান্নাঘর যদি নিয়ম মেনে সাজানো যায় তাহলে সংসারে সুখ সমৃদ্ধির অভাব হবে না কখনও। তাই নিজের ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করতে চলুন জেনে নেওয়া যাক রান্না ঘরের বাস্তু তন্ত্রের খুটিনাটি নিয়মগুলি কী কী!
বাঙালি আছে অথচ খাওয়া দাওয়া নেই, পেট-পুজো নেই এমনটা তো হতেই পারে না। বাঙালি ভদ্রলোক সক্কাল সক্কাল বাজারে গিয়ে মনের মত তাজা সবজি, মাছ-মাংস কিনতে খুব ভালোবাসেন। এটি ঠিক যেন স্বর্গ সুখ তার কাছে। সেসব না হয় হল, তবে সবথেকে বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা উচিত রান্নাঘর।
আরো পড়ুন: ফের নতুন ফিচার্স স’মে’ত WagonR গাড়ি ল’ঞ্চ করলো Maruti, জানুন দা’ম
বাংলা বছরে চৈত্র মাস শেষ হতেই শুরু হয় নববর্ষ। আর যেহেতু উৎসব মানেই পুজোপার্বণ তাই বহু বাঙালি বাড়িতে আজও নিয়ম মেনে চৈত্র মাসে ঘর পরিষ্কার করার চলে রয়েছে। বাংলার নববর্ষ আসার আগেই ভালো করে রান্নাঘর পরিষ্কার করে নিন। যাতে কোনও ময়লা না থাকে। প্রয়োজনে রং করিয়ে নিন।
মূলত পূর্ব ও দক্ষিণ দিক রান্নাঘরে গ্যাস ওভেন রাখা ভালো। কারণ বাস্তুমতে, অগ্নি দেবতা এদিকে থাকলেই ঘরে শান্তি ফিরে আসে। চাইলে রান্না ঘরে দেবী অন্নপূর্ণা অথবা মা সারদার ছবি রাখতে পারেন, তা মঙ্গলজনক। রান্নাঘরের জলের উৎস বা কলের পয়েন্ট এর জন্য বেছে নিন উত্তর- পূর্ব দিক।
আরো পড়ুন: জিনপিংয়ের হ’য়ে ব্যাট ধরলেন বাম নেতা মানিক সরকার, বললেন চীন কা’রো জমি দ’খ’ল করেনি
রান্নাঘর এই দিকে কোনও জলের পয়েন্ট না থাকললে উত্তর- পশ্চিম দিক মুখ করে আপনি একটি জলের পাত্র রেখে দিতে পারেন। আবার যদি রান্নাঘরের জানালা পূর্বদিকে না থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই পূর্বদিকে একটি ভেন্টিলেটর রাখার চেষ্টা করুন। আর রান্নাঘরের পূর্ব-দক্ষিণ দিক বন্ধ থাকলে আপনি একটি কারেন্টের প্লাগ পয়েন্ট বানান।
সেখানে একটি লাল রঙের বাল্ব বা ইনডিকেটর জ্বালিয়ে রাখুন। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে লাল রঙের চিহ্ন ওই দিকে অবশ্যই রাখুন তবে সেটা যেনও কোনওভাবে দাহ্য পদার্থ না হয়। রান্না ঘরের জানালা সব সময় পূর্ব দিকে রাখার মানে হল এই যে সূর্যোদয়ের প্রথম রশ্মি যাবতীয় জীবাণুকে বিনাশ করে। রান্নাঘর ভরে ওঠে পজিটিভ এনার্জিতে। তাহলে রান্নাঘরের বাস্তুতন্ত্রের এই নিয়মগুলি মানুন আর ঘরে ফিরিয়ে আনুমানিক সুখশান্তি।
