সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নিম্নচাপের পাশাপাশি ভরা কোটাল, দীঘাতে ফে’র হ’তে পা’রে জলোচ্ছ্বাস, স’ত’র্ক ক’র’লো প্র’শা’স’ন

ইয়াসের প্রবাহে দিঘাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে, এখনো পর্যন্ত এই ক্ষয়ক্ষতি সামাল দিয়ে উঠতে পারেনি দিঘা, এমন সময়ে নতুন করে আবার এক নতুন আতঙ্কের শিকার হতে চলেছে দিঘাবাসী। ইয়াসের প্রবাহে বিপুল পরিমাণে দিঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এইরকম অবস্থায় নতুন করে একটি বিপর্যয়ের সর্তকতা জানানো হল দিঘাবাসীকে।

আগামী ১১ ই জুন তারিখে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন একটি নিম্নচাপের জেরে হতে পারে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। তারপরে ঐদিন ভরা কোটাল যার জন্য পরিস্থিতি হতে পারে মারাত্মক। ইয়াসের মতো একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শংকরপুর, মন্দারমনি দিঘা সহ একাধিক এলাকা বিপর্যস্ত হয়েছে। এমন একটি সময় যেখানে সকল মানুষ মিলে ইয়াসের মতো একটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে যে বিপর্যস্ত হওয়ার পর নিজেদেরকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে, ঠিক সেই সময়ে এলো নতুন একটি নিম্নচাপের সতর্কতাঃ।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে যে, ১১ ই জুন তারিখে ভরা কোটাল এবং বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নতুন নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র এবং নদীর জল ফুলে উঠতে পারে, এমনই জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন সতর্কবার্তা জানিয়ে দিয়েছে এই সতর্কবার্তা। ১০ই জুন থেকে ৪ দিন পর্যন্ত রয়েছে এই সতর্কবার্তা। যারা সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবে, তাদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।

ইয়াসের পর নতুন একটি বিপর্যয় বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে যে, নিম্নচাপ এবং ভরা কোটাল এই দুটির কারণে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। সমুদ্রের এলাকার আশেপাশে যারা বসবাস করে তারা যেন নিরাপদ অঞ্চলে চলে যায়।

জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে নদীর বাঁধ যেন ভেঙে না যায় তার জন্য বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে নদীর পাশে। ইয়াস আসার আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যেভাবে সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছিল, ঠিক সেই রকমই সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে ১১ ই জুন তারিখে আসা নতুন নিম্নচাপের জন্য।