গোটা রাজ্যজুড়ে এবার স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়ে একাধিক মামলা শুরু হয়েছে। এই সমস্ত মামলার তদন্ত করতে নেমেছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশে সিবিআই বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে যায় এবং সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে। ইতিমধ্যে তদন্ত চলাকালে একাধিক চাকরি বাতিল করা হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের তদন্ত করতে নেমে দেখা গেছে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। সামনে এসেছে রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যাপার। বোঝাই গেছে যে গোটা ঘটনা জুড়ে স্বজনপোষণ চলছে, এবং সেটাকে ঘিরে অভিযোগ উঠেছে।
আদালতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীকে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন।নবম এবং দশম শ্রেণীতে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৬ সালে একটি পরীক্ষা হয় এবং সেখানে মেধাতালিকায় যাতে প্রার্থীদের নম্বর উল্লেখ থাকে সে ব্যাপারেও দাবি ওঠে।
আরো পড়ুন: সিনেমার জন্য ব্য’য় করেছেন ৮৫ কোটি, ঘরে এসেছে আড়াই কোটি! ঋ’ণে জ’র্জ’রি’ত কঙ্গনা
আদালতে এই দাবি জানানো হয়েছিল। আদালতের তরফ থেকে ২০ শে মে নম্বরসহ একটি তালিকা প্রকাশ করার কথা বলা হয়। কিন্তু স্কুল শিক্ষা পর্ষদে তরফ থেকে সেই তালিকা এখনো পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।
এরপরে সেই মামলার শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সুতনু পাত্র। গোটা ব্যাপারটি সম্পর্কে তিনি বলেন,” ডিভিশন বেঞ্চে এ বিষয়ের মামলাটা উঠছে”।
কমিশনের আইনজীবী কে এস এসসি গ্রুপ ডি মামলার ব্যাপারে তুলে বিচারপতি বলেন,” কমিশনের অনেক সদস্যই স্বজনপোষণ করেছে তারা নিজেদের আত্মীয়-পরিজনদের অবৈধভাবে এসএসসি গ্রুপ ডি পদে বসিয়েছে তাদেরকে বলুন যেন তারা ফলের জন্য প্রস্তুত থাকে”।
আগামী সপ্তাহে আবার এই মামলার শুনানি হতে চলেছে। কমিশনের এক সদস্য স্বজনপোষণ করেছে, তার বোনকে অবৈধভাবে চাকরিতে নিয়োগ করেছে।