সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আ’রো ৫৪ জনকে পুজোর আগেই চাকরি দেওয়ার নি’র্দে’শ, ব’ড়ো রা’য় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতিগ্রস্তের শিকার হয়েছেন অনেক চাকুরিপ্রার্থী, যারা পর্ষদের ভুলের কারণে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা বছরের পর বছর ধরে অভিযোগ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে কিন্তু কোনো সুরাহা তারা পাননি। অবশেষে কোনো সুরাহা না পাওয়ার পর তারা দ্বারস্থ হয়েছেন হাইকোর্টে। পর্ষদের যে ভুল সে কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্বয়ং পর্ষদ, কিন্তু তাও এখনই পর্যন্ত সেই সমস্ত চাকুরী প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়নি। তবে এইবার সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় সোমবার চাকরি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ২৩ জনকে।

এই মামলায় আগামী ২৮শে সেপ্টেম্বর একটি রায় ঘোষণা হয়েছিল যেখানে বিচারপতির নির্দেশ দিয়েছিলেন ২৩ জনকে চাকরি দেয়ার, কিন্তু এবারে মোট ৫৪ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে আদালত। এই চাকুরীতে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতের জন্য যে সমস্ত শূন্যপদ ছিল সেগুলোতেই এই ৫৪ জনকে বসানো হবে। এই ব্যাপারে মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, “প্রায় ৩০০ জনের কাছাকাছি মানুষ এই অভিযোগ নিয়ে আমাদের দ্বারস্থ হয়েছেন। ২০১৪ সালে তারা টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন এবং ফল প্রকাশ হয় ২০১৬ সালে কিন্তু দেখেন তারা যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি।”

চাকরি প্রার্থীরা দাবি করে জানান, তারা ৬ নম্বর কম পাওয়ার জন্য চাকরি পাননি। পর্ষদের ভুলে এই নম্বর কম দেওয়া হয়েছে প্রথমদিকে তারা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে এই অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু কোন সুরাহা তারা পাননি, অবশেষে পাঁচ বছর পরে তারা আদালতে এই মামলা করেন।

আরো পড়ুন: সুদীপার পর এবার স্বামী! শ্রীলেখাকে খোঁ’চা দিলেন অগ্নিদেব

পর্ষদের তরফ থেকে ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়। জানা যায় ২০২১ সালেই তারা টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, কিন্তু তাদের এখনো পর্যন্ত চাকরি দেওয়া হয়নি। পুজোর আগে আদালতের এমন একটি নির্দেশে খুশি হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। অনেক চাকরিপ্রার্থীরা জানান যে, তারা ভয় পেয়েছিলেন কারণ বয়স ইতিমধ্যেই বেড়ে যাচ্ছে তার ফলে চাকরি না পাওয়ার একটা জায়গা থেকে যাচ্ছিল।

অবশেষে এরকম একটি নির্দেশের জন্য তারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত নিয়োগপত্র তারা হাতে পাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা কিছুটা হলেও ভয়ে রয়েছেন।