ফের আরো একবার সুখবর পাওয়া গেল চাকরিপ্রার্থীদের জন্য। বুধবার সি এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মেধা তালিকা অনুযায়ী ৯২৩ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যোগ্য ব্যক্তিদের সুপারিশ পত্র দিতে হবে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই। হাইকোর্ট কাউন্সেলিং শেষ হলেই সুপারিশ পত্রপাবে প্রাথীরা।
আদালতের সূত্র থেকে জানা গেছে, আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এতজনকে সুপারিশ দেওয়া সমস্যা যেন বলে জানিয়েছে এসএসসি। কমিশনের বক্তব্যের পাল্টা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, অন্তত ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীকে এই সময়ের মধ্যে সুপারিশ পত্র দিতে হবে।
নবম এবং দশম শ্রেণীতে যাদের বেআইনিভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল, তাদের নামের বিস্তারিত তালিকা চেয়ে পাঠালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে এই তালিকা দিতে হবে কমিশনকে। মামলার শুনানির সময় এই দিন বিচারপতি বলেছেন, গত এপ্রিল মাস থেকে মামলা চলছে। তাও কোন প্রকৃত যোগ্য প্রার্থী এখনো চাকরি পাননি। দ্রুত চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে হবে সকলকে।
অন্যদিকে আগেই ৫৭৩ জনের নিয়োগ বেআইনি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নিয়ম খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ কেউ এতদিনেও চ্যালেঞ্জ করেনি ফলে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী পদে এখনো ফাঁকা রয়েছে ৫৭৩ টি পদ। এখন ওই পদে মেধা তালিকা থেকে রিজিওনাল কমিশন নতুন নাম দিয়ে কর্মী নিয়োগ করবে। এদের মধ্যে ৫০০ জন কোন পরীক্ষা দেয়নি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে ৩৫০ তৃতীয় শ্রেণীর কর্মী নিয়োগে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই পদ গুলিতে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।বিচারপতি নির্দেশে গ্রেফতার হয়েছেন এস এস সি দুর্নীতির রাঘব বোয়ালরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রীতি একটা টেলিভিশন চ্যানেল কে দেবে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, দুর্নীতির সঙ্গে তিনি কোনো রকম ভাবে আপোষ করতে রাজি নন। সমাজে টিকতে হলে দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করতে হয় কিন্তু তিনি কখনো দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করেননি। ভবিষ্যতেও করবেন না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।