বিজ্ঞাপনের দৌলতে জাপানি তেল আমাদের সকলের কাছে ভীষণ ভাবে সুপরিচিত। যদিও এই তেল বিক্রয় হয় বড্ড আড়ালে। এই তেল ব্যবহার করে কে কতটা উপকার পেয়েছে তা অনেকের কাছেই অজানা। এই তেলটিকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বহুবার। মিথ্যা দাবির অভিযোগে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয় পুনের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। তবে আজও এই তেল সম্পর্কে আমাদের কৌতুহল বিন্দুমাত্র কমেনি। এই বিজ্ঞাপন দেখেই মনের মধ্যে কৌতূহল দানা বাঁধে। বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরি হয়। আদৌ কি এটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী? কি কি ব্যবহার করা হয় এই তেল তৈরি করতে? কেন এই তেল ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক?
তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই তেল সম্পর্কে নানা অজানা কথা।
বিজ্ঞাপনে আয়ুর্বেদিক ভায়াগ্রা বলে দাবি করা জাপানি তেলের সঙ্গে আদৌ জাপানের কোন যোগাযোগ নেই। এই তেল জাপানি আদৌ তৈরি হয়েছে কিনা তা কেউ জানে না। তবে এই তেল প্রস্তুতকারক সংস্থা চতুর্ভুজ ফার্মা দাবি করে, বহু বছর আগে নানান আয়ুর্বেদিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হত যৌনতার এই টোটকা।
চতুর্ভুজ ফার্মার বক্তব্য অনুযায়ী,এই তেল তৈরি করতে ব্যবহার করা হতো লবঙ্গ, তিলের তেল, জলপাই তেল, আকর করা শিকর, আর্সেনিকযুক্ত মিনারেল, কেশর, হরতাল ভস্ম। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধের ওয়েবসাইট অনুযায়ী এই তেল ব্যবহার করা হয় লতা কস্তুরী, গোলমরিচ, কার্পাস বীজের তেল, অশ্বগন্ধা, চামেলি ফুলের তেল, জাফরান সরষের তেল, চেলো পোকা ইত্যাদি।
এই তেল ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায় কিনা তা এখনও জানতে পারা যায় নি। কোন সংস্থা কি ব্যবহার করছে তাও জানা যায়নি এখনো। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন, তেলের বিজ্ঞাপনে যা দেখানো হয় তা আদৌ সত্য কথা নয়। একমাত্র জটিল অস্ত্রপচারে পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ানো যায়। তবে এই তেল সুগন্ধে ভরপুর। কিন্তু তার জন্য অর্থ দিয়ে এই তেল কেনার কোন মানে হয়না।