প্রথমদিকে হৃদয়জুড়ে আনন্দের ঢেউ বইলেও ধীরে ধীরে সমস্যা তৈরি হতে শুরু হয়। দুজনের মধ্যে তৈরী হয় দূরত্ব, বোঝাপড়ার অভাব দেখা দেয়, মতের অমিল শুরু হয়। তবে সব পরিস্থিতি তো সমান হয় না, তাই মেনে এবং মানিয়ে নেওয়াও সম্ভব হয় না। একটি সম্পর্ক টিকবে কি না তা আগেভাগে না বলা গেলেও কিছু কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায় সম্পর্ক আদতে কোন দিকে এগোচ্ছে।
প্রেমের শুরুতে যত্ন, ভালোবাসা ভরপুর থাকে ঠিকই, তবে সম্পর্ক পুরোনো হওয়ার সাথে সাথে সেসব ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। যদি আপনার প্রতি তার যত্নের অভাব বুঝতে পারেন বা পর্যাপ্ত সময় থাকার পরও দুজনের মধ্যে যোগাযোগ কমতে থাকে তাহলে সেই সম্পর্কের ভবিষ্যত খুব যে ভালো হবে তা কিন্তু আশাও করবেন না।
যাদের স্বভাব সংবেদনশীল প্রকৃতির, তারা খুব আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন। আবেগী বা সংবেদনশীল মানুষ যদি বারবার আঘাত পায় তাহলে তা মোটেই ভালো কথা নয়। সঙ্গীর সংবেদনশীলতা যদি বিরক্তির কারণ হয় তবে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে।
আরো পড়ুন: একসঙ্গে দুটি ডিগ্রি কো’র্সে পড়াশোনা করতে পারবেন পড়ুয়ারা, নতুন নি’য়’ম আ’ন’ছে UGC
সম্পর্কের ক্ষেত্রে অধিকারবোধ থাকা ভালো তবে তা যেন অবদমনের পর্যায় না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সম্পর্কে অবদমনের আগমন ঘটলে সেই সম্পর্কের ভবিষ্যত অন্ধকার।
প্রায় সব সম্পর্কে কিছু না কিছু বোঝাবুঝি হতে পারে। সেসব দুজনের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নিতে হবে। কিন্তু যদি এই সমস্যা বাড়তে থাকে তবে সাবধান হোন। কারণ বারবার নিজেকে ব্যাখ্যা করার মতো ধৈর্য থাকে না। ভুল বোঝাবুঝি পাহাড় সমান হয়ে উঠলে সেখানে আরও বিপদ।
সম্পর্কে শ্রদ্ধা না থাকলে সেই সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না। সম্পর্কে বিরক্তি হয়তো আসতে পারে, তবে অসম্মান যেন না আসে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। অসম্মানের মাত্রা যদি বাড়তে থাকে তাহলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা মুশকিল।