জন্ম থেকেই দুরারোগ্য ডোয়ার্ফিজম রোগে আক্রান্ত তিনি। জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই কার্যত সমাজের গঞ্জনা শুনে শুনে বড় হওয়া। এই রোগে মনের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হলেও শরীরের বৃদ্ধি হয় না। ক্রিস্টেন ডিঅ্যান্ড্রাদেও এই রোগের শিকার ছিলেন। অবশেষে রোগ থেকে মুক্তির জন্য তিনি কঠিন অস্ত্রোপ্রচারের পথে হাঁটলেন।
তিনি একজন প্রশিক্ষিত যোগা প্রশিক্ষক। সকলকে যোগার প্রশিক্ষণ দেন তিনি। শারীরিকভাবে ফিট থাকার মূলমন্ত্র শেখান। জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনি নিজেকেও শারীরিকভাবে ফিট করেছেন। এভাবেই তিনি নিজের 13 ইঞ্চি উচ্চতা বাড়িয়েছেন। 3 ফুট 9 ইঞ্চির শরীর এখন পাঁচ ফুটের উচ্চতা ছুঁয়েছে।
অ্যাকনড্রোপ্ল্যাসিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। এই রোগে হাত এবং পায়ের বৃদ্ধি হয় না। বর্তমানে তার বয়স 36 বছর। তার বর্তমান উচ্চতা নিয়ে তিনি বেশ খুশি। এখন আর ঘরের আলো-পাখা সারাই করতে কিংবা উচ্চ স্থান থেকে কিছু নিচে নামিয়ে আনতে তাকে চেয়ার বা টুলের সাহায্য নিতে হয় না।
তার উচ্চতা বাড়ানোর জন্য তার হাত এবং পায়ের নির্দিষ্ট স্থানে হাড় ভেঙে ফেলা হয়েছে। তারপর সেখানে স্টিলের রড ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি নিজে আত্মনির্ভর হয়ে সকলকে আত্মনির্ভর করে তোলার প্রচেষ্টা করে চলেছেন।