শুক্রবার ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর থেকেই জোর জল্পনা চলছে গোটা রাজ্য জুড়ে। এই চাকরি বাতিলের নির্দেশে এবার অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
সেখানেই তারা জানান আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অথবা আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। প্রসঙ্গত গত শুক্রবার এই মামলার রায় দিতে গিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করবার কথা জানান।
সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত থমকে থাকবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে এই নিয়োগের ব্যাপারে যা বলার তা একমাত্র বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলবেন। প্রসঙ্গত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন আগামী চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন ওই শিক্ষকরা। পার্শ্ব শিক্ষকদের মতন বেতন পাবেন।
তবে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পর তারা বেতন পাবেন কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি শুরুতে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার জানান একক বেঞ্চ আবার নিউ প্রক্রিয়ায় অংশ নিবার সুযোগ দিয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তো কোন নেকড়ে নন।
যদি আপনারা উপযুক্ত হয়ে থাকেন তবে আবার নিয়োগে আপনাদের এত সমস্যা কোথায়। এদিকে চাকরি হারাদের পক্ষে আইনজীবীরা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সওয়াল করে জানিয়েছেন আদালতের নির্দেশেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই।
এখনো পর্যন্ত এই প্রসঙ্গে কোনো তথ্য উঠে আসেনি তবে হঠাৎ করে কেন শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করা হলো? যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ দেওয়া হয়নি এখনো পর্যন্ত। নিয়োগের দুই বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ নিতে হবে প্রার্থীদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যারা প্রশিক্ষণ নেননি তারা চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন।
এবারে দুই বছরের মধ্যে যেকোনো সময় তারা প্রশিক্ষণ নিতে পারতেন। ফলে এক্ষেত্রে আইন ভেঙ্গে কোন নিয়োগ করা হয়নি বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তারা। শুধু তাই নয় গত ৬ ই ডিসেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হুংকার দিয়ে বলেছিলেন ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব।
তবে কি সত্যি সত্যিই রাজনৈতিক কোনো প্রতিহিংসা চরিতার্থ করবার জন্য এমনটা করেছেন বিচারপতি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন চাকরি হারারা।