দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। তবে গত বছরের মতো এই বছর আর মানুষকে হাহাকার করতে দেখা যাচ্ছে না। গতবছরের থেকে শিক্ষা পেয়ে এই বছর মানুষ অনেকটা আগে থেকেই প্রস্তুত হয়ে নিয়েছে। মুদির দোকান থেকে বাজারহাট এমনকি মিষ্টির দোকান খোলা ছিল নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। তবে সম্প্রতি এই লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আরও 15 দিন।
আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন বেশ কিছু বনিক সংগঠন কে নিয়ে। এই বৈঠকে 29 টি বনিক সংগঠন উপস্থিত ছিল। তাদের সকলকে উদ্দেশ্য করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, অন্যান্য রাজ্যের মতো আমরা লকডাউন করিনি কড়াকড়িভাবে। সকলের কথা মাথায় রেখে আমরা লকডাউন করেছি। মুদির দোকান থেকে শুরু করে মিষ্টির দোকান সবকিছুই খোলা রয়েছে। তাই দ্বিতীয় দফার লকডাউন এর সময় রেস্তোরাঁও খোলা থাকবে কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।
এইদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, রাতের আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে সমস্ত রেস্তোরাঁ। তবে 50% কর্মীদের নিয়ে কাজ করতে হবে তাদের। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হলো, কর্মীদের টিকাকরণ করিয়ে দেওয়া হবে আগে থেকেই। তবে কর্মীদের টিকাকরণ যাতে হয়ে যায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে রেস্তোরাঁর মালিকদেরই।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, আমরা কখনোই চাইনা যে কোন ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্থ হোক। তাই রেস্তোরাঁ খোলার জন্য অনুমতি দিলাম আমরা। তবে কোন রেস্তোরাঁর সামনে যতই জমায়েত না হয় তা দেখতে হবে আপনাদের। সমস্ত কর্মীরা যাতে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে সেই দায়িত্ব থাকবে আপনাদের উপর।
