পুরভোটে একেবারে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, গতকাল রবিবার জেলায় জেলায় পুরো ভোটের দামামা বেজে গেছিল, আর সেই দামামার জোড় এতটাই ছিল যা বলার মতো নয়। ভোট শুরুর থেকেই একেবারে হুলুস্থুল কান্ড রাজ্য জুড়ে। বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি, মারামারি, একেবারে রক্তাক্ত কান্ড।
শাসক বিরোধী দল মিলে একেবারে যে সে কান্ড। শাসক দলের ওপরে বিরোধী দলের একের পর এক অভিযোগ, ভোট লুট করা অভিযোগ, বিরোধীদের ভোট দিতে বাধা, ছাপ্পা ভোট , এমনকি বিরোধী দলের মহিলা প্রার্থীকে হেনস্থা করার অভিযোগ এসেছে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে।
এমনি একটি ঘটনা সামনে আসল যেখানে এক টোটো চালককে টোটো থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়েছে, টোটো পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে তার। পরে তাকে মারার কারণ হিসেবে জানা যায়, ২০০ টাকার বদলে তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা ভোট দিতে এসেছিল এই যুবক, কিন্তু একেবারে বিরোধী দলের হাতে ধরা পরার কারণেই দারুন মারধর করা হয় তাকে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালিতলা এলাকায়।সেই যুবকের খোঁজ করা হলে জানা যায় তার বাড়ি শক্তিগর নতুন গ্রাম গ্রামপঞ্চায়েতে। ২০ জন ছেলে সহ সেই যুবক আসে ভোট দিতে।৬ নম্বর ওয়ার্ডে দুপুরে এই কান্ড ঘটায় যুবক। পরে জানায় এই কাজ করে তৃণমূলের নেতাদের কথায়।
কিন্তু বহিরাগত হিসেবে তাকে গণধোলাই দেয় গ্রামবাসী ও বিরোধী দলের সমর্থকরা। করে জানা যায় অভিযুক্ত এর নাম ফরজ শেখ, সে বলে আমি কিছুই জানি না। আমার বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে। আমাকে তৃণমূলের নেতারা বলেছিল তাই আমি এই কাজ করেছি।
২০ জনকে নিয়ে আসি আমি, কিন্তু টোটো থেকে নামতেই গ্রামবাসীরা গণধোলাই শুরু করে এমনকি টোটো পর্যন্ত ভেঙে দেয়। টোটো থেকে নামতেই আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়, কোথায় বাড়ি । ঠিকানা বলতেই মারধর শুরু করে , কিন্তু কেন মারে জানি না। তৃণমূলের লোকেরা মুসলমান বলে আমাকে মেরেছে। আমি কিছুই জানি না। যাতে কোনো গন্ডোগোল না হয়, সেই জন্য দেখার জন্য ২০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল আমাকে। কিন্তু এমনটা হবে ভাবিনি।