সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এই কা’র্ড থাকলেই পা’ও’য়া যা’বে “লক্ষ্মীর ভান্ডার” প্রকল্পের টা’কা, কে কে পাবেন সু’বি’ধা, জেনে নিন

একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার নির্বাচনী ইশতেহারে রাজ্যের প্রত্যেক গৃহবধুর জন্য বিশেষ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তপশিলি জাতি এবং উপজাতিভুক্ত মহিলারা মাসে ১০০০ টাকা এবং সংরক্ষণের আওতার বাইরে মহিলারা ৫০০ টাকা করে মাসিক ভাতা পাবেন। এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা এবং আবেদনের পদ্ধতি সম্পর্কে বিশদে তথ্য জানানো হয়েছে।

যেসকল মহিলাদের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের কার্ড রয়েছে, তারা সরাসরি লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন। গ্রাম হোক বা শহর, রাজ্যের বাসিন্দা হল সেই মহিলারা এই প্রকল্পের আওতায় আসতে পারবেন। ২৫-৬০ বছর বয়সে মহিলারা এই প্রকল্পে আবেদনের যোগ্য। সরকারি কর্মচারী অথবা অবসরপ্রাপ্ত মহিলাদের মধ্যে যদি কেউ নিয়মিত বেতন পান অথবা পেনশন পান তাহলে তারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন না।

সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক থাকা বাধ্যতামূলক। যদি কোন মহিলার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড অথবা আধার কার্ড না থাকে তাহলেও তাকে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তাকে স্বাস্থ্যসাথী এবং আধার কার্ড পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য সাহায্য করা হবে। দুয়ারে সরকারের মতো এ ক্ষেত্রে সরকারি আধিকারিকেরা নথিপত্রগুলিকে যাচাই করবেন।

কলকাতা কর্পোরেশনের আধিকারিকেরা এবং জেলাগুলির ক্ষেত্রে জেলাশাসকেরা এই প্রকল্পে আবেদনকারীদের নথিপত্র যাচাই করে দেখবেন। যদি আবেদনকারীর আবেদনের কোন প্রকার ভুল থাকে তাহলে তার টাকা আটকে যেতে পারে। গ্রামাঞ্চলের ব্লক ডেভলপমেন্ট আধিকারিকেরা এবং শহরাঞ্চলের সাব ডিভিশনাল অফিসাররা । এরপর তাদের নথিপত্র জেলাশাসকের কাছে পাঠানো হবে। জেলাশাসক বিবেচনা করে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের পোর্টালে তাদের নাম তুলে দেবেন।