সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পড়ুয়া না থাকলে শিক্ষক পু’ষে কি লা’ভ? ব’দ’লি ইস্যুতে বললেন বিচারপতি বসু

স্কুলে যদি পড়ুয়া না থাকে তবে বেকার শিক্ষক পুষে লাভ নেই। তাই বাংলায় তুলে দেওয়া হোক এই রকম স্কুল। দিল্লিতে যদি এমনটা হতে পারে তবে বাংলায় কেন নয়। প্রয়োজনে এই ধরনের স্কুল তুলে দেওয়ার জন্য অর্থ জোগাড় করতে হবে। স্কুলের শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত মামলায় এমনটাই দাবি করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

পড়ুয়া যদি অনেক কম থাকে তবে স্কুলের অনুমোদন প্রত্যাহার করে নিন অযথা শিক্ষক পুষে রেখে লাভ নেই। প্রসঙ্গত হাওড়ার একটি স্কুলের উদাহরণ তুলে দিয়ে দেখানো হয় সেখানে ১৩ জন পড়ুয়া আর ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। আবার রাসপুর গার্লস হাই স্কুলে ৫৫০ জন ছাত্রী অথচ শিক্ষক রয়েছেন মাত্র তিনজন।

অংক বিজ্ঞান ইংরেজি সহ নানান শিক্ষকের অভাব রয়েছে। বিচারপতি এই দিন সমস্ত পরামর্শ শুনে নির্দেশ দিয়েছেন এই ধরনের স্কুলের পরিকাঠামো তুলে দিয়ে শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করাতে হবে।

আরো খবর: বাগদার বহুলচর্চিত রঞ্জনকে এবার গ্রে’ফ’তা’র করলো CBI, এবার হবে সব দু’র্নী’তি’র প’র্দা’ফাঁ’স

যদিও এই ব্যাপারে আইনজীবী জানিয়েছেন রাজনৈতিক চাপ আসতে পারে তার কথা খণ্ডন করে বিচারপতি জানান চাপের কথা ভুলে যান দিল্লিতে যদি এই মডেলের স্কুল তৈরি হতে পারে তবে এখানে কেন হবে না। তার কথায় শিক্ষকদের পরিবর্তে পড়ুয়াদের কথা ভাবতে হবে।

দিনের পর দিন এই ধরনের অচলায়তন চলবেনা। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার যদি পুলিশের সমকক্ষ কাজ করতে পারেন তবে প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের মতন কাজও তাকে করতে হবে। হাওড়া রাসপুর গার্লস হাইস্কুলের এক ইতিহাসের শিক্ষিকা আরজি জানিয়েছিলেন তার বাড়ির কাছে স্কুলে তাকে বদলি করা হোক।

রিপোর্ট অনুযায়ী ওই হাই স্কুলের মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৫৮৫ জন এর জন্য কমপক্ষে ১৫ জন শিক্ষক থাকার কথা। যা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন ভাবতে অবাক লাগে এই স্কুলের ছাত্রীদের ইতিহাস কে পড়াবেন সে নিয়ে কেউ চিন্তিত নয় কারণ উনি চলে গেলে এই স্কুলে আর কোন ইতিহাসের শিক্ষিকা থাকবেন না।