সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আমি সাংবাদিকের জায়গায় থা’ক’লে বিচারপতি গাঙ্গুলিকে এই প্রশ্নগু’লো করতাম: দেবাংশু

তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের মন্তব্যকে ঘিরে ফের নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সম্প্রতি আমরা দেখেছি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি সাক্ষাৎকার দেখানো হয়েছে এবং সেই সাক্ষাৎকারে যে সমস্ত প্রশ্নগুলি করা হয়েছে তার সাথে আরও দশটি প্রশ্ন করতে ইচ্ছুক বলে মত প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশ ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন তিনি যদি সুমনবাবুর জায়গায় থাকতেন তাহলে বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কে তিনি আরো দশটি প্রশ্ন করতেন এবং এ প্রশ্নগুলি করার অধিকার আছে বলেই মনে করেন তিনি। তাঁর সেই ১০ টি প্রশ্ন তিনি সোশ্যাল সাইটে প্রকাশ করেন আসুন এবার জানা যাক সেই প্রশ্নগুলি কি কি:-

দেবাংশু বাবু বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নাম না নেওয়া সত্বেও তিনি হঠাৎ ঠাকুর ঘরে কে রে? আমিতো কলা খাইনি মত ডেকে উঠলেন কেন?এ হেন আচরণ করার অর্থ কী? আমরা দেখেছি রাজ্যের বড় বড় নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ উঠেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাহলে বিচারপতি লোহিয়ার মৃত্যু নিয়ে তিনি কোন প্রশ্ন তোলেননি কেন?

মামলা চলাকালীন তিনি কোন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতার নাম নেননি। তাহলে কি তিনি এটাই বোঝাতে চাইছেন যে বিজেপি সম্পূর্ণ দুর্নীতিগ্রস্ত একটি দল তাতে কোন অসৎ ব্যক্তি নেই। অনুব্রত মণ্ডলের কন্যাকে ডাক করিয়ে কলকাতায় আনার কারণ কি? সুদূর বীরভূম থেকে কলকাতায় আসার খরচ কী আদালত বহন করেছেন? যদি তা না হয় নিজের ভুলবশত ডাকার জন্য কি কখনো দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি?

অভিজিৎবাবু বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আইনের বাইরে গিয়ে একজন ব্যক্তির চরিত্র বিশ্লেষণ করাও কি আইনেরই মধ্যে পড়ে? আইনজীবী অরুনাভ গাঙ্গুলি তাঁর বিরুদ্ধে বহুবার সরব হয়েছেন এমনকি বলেন তিনি নাকি আইনের কিছু জানেনই না। তাহলে কি তিনি এবার অরুনাভ গাঙ্গুলির সঙ্গে বিতর্কে জড়াতে চাইবেন।

অঙ্কিতা অধিকারী তাঁর বাবার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে চাকরি পেয়েছেন এটা কোথাও কোনোভাবেই প্রমাণিত করা যায়নি। এমন কি এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অঙ্কিতা অধিকারী কোন মামলার পার্টিই ছিলেন না তাহলে কিভাবে শাস্তি পেয়ে গেলেন তিনি?অভিজিৎবাবু স্বয়ং বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করেছেন।

কিন্তু কেন্দ্রীয় শাসকদলের বিরুদ্ধেও তাঁকে চুপ থাকতে দেখা গেছে বার বার। তাহলে সাধারণ মানুষ যদি এর সরলীকরণ করার চেষ্টা করেন তাহলে কি কোথাও ভুল করবেন?বহু বিচারপতিকে অবসর নেয়ার পর দেখা গেছে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন। তাতে কি তাদের পূর্ব কার্য বিতর্কিত বিষয় হয় না?

সবশেষে এক বিস্ফোরক প্রশ্ন করে বসেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন অভিজিৎবাবুর লাইম লাইটে আসাটা যদি প্রাধান্য না পায় তাহলে তিনি তাঁর নিজের কোর্টরুমের মধ্যেই তাঁর দুর্নীতি বিরোধী বিপ্লব চালিয়ে যেতে পারতেন তা না করে এভাবে রেওয়াজ ভেঙে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজেকে হাইলাইট করার চেষ্টা করতেন না।