একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেমন তৃণমূল দল ত্যাগ করে দলে দলে বিজেপিতে পা রেখেছিলেন একাধিক রাজনৈতিক নেতা নেত্রী, নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর ঠিক উল্টো দৃশ্য ধরা পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি শিবির থেকে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা কর্মী তৃণমূল শিবিরে চলে যাচ্ছেন। কয়েকদিন আগেই রাজ্য শাসকদলের আহবানে বিজেপি শিবির ত্যাগ করেছেন মুকুল রায়। সেই নিয়ে এখনও জল্পনা তুঙ্গে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিনেই বিজেপি শিবিরের দুই হেভিওয়েট নেতা দল ছেড়েছেন। বিজেপির তরফের একের পর এক বিধায়ক এইভাবে দলত্যাগ করাতে অস্বস্তির মুখে পড়েছে বিজেপি। এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুকুল রায়কে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে ভুল বলে মেনে নিলেন। তিনি স্বীকার করে নিলেন, মুকুল রায়কে ভরসা করেই ভুল করেছিল বিজেপি।
দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। ঠিক তার পরেই দলত্যাগী ২ বিধায়ককে শো-কজ নোটিশও পাঠিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিলীপ ঘোষ এদিন বলেন, অনেকে চাপের মুখে পড়ে দল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত ধারণ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, মুকুল রায়কে প্রথম সুযোগেই ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছিল বিজেপি। তবে তারপর তিনি যা করেছেন তাতে কার্যত তার উপর থেকে মানুষের ভরসা উঠে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ এবং মঙ্গলবার বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস দল ত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
