গত শুক্রবার ১০ই ফেব্রয়ারি, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন , গ্রুপ ডি পদের ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করে। তদন্তে প্রমাণ হয়েছে যে, এরা সকলেই বেআইনি পথে পরীক্ষার উত্তরপত্রে কারচুপি করে চাকরি পেয়েছিল। এর জেরেই নিজের চাকুরি খোয়ালেন বাঁকুড়া জেলার ওন্দা ব্লকের মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা পূর্নিমা নন্দী দে।
নিয়োগে অনিয়মের কারণে চাকরি বাতিলের তালিকাতেই ১৫৪০ নম্বরে নাম রয়েছে পূর্ণিমা নন্দী দে-র। তিনি বাঁকুড়ার ওন্দার ভুলনপুর হাইস্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন। বিরোধীদের দাবি, স্বামী লক্ষীকান্ত দে-র প্রভাব খাটিয়েই এই চাকরি পেয়েছিলেন পূর্ণিমা। নেতাদের ঘুষ দিয়ে এই চাকরি হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সদ্য চাকরি হারা পূর্ণিমা নন্দী দে জানিয়েছেন যে , তিনি পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন। তিনি জানান যে, ‘শালবনিতে পরীক্ষার সিট পড়েছিল আমার। পরীক্ষা দিয়েই চাকরিটা পেয়েছিলাম। মেয়ের পড়াশোনার খরচ কীভাবে জোগাব ভেবে কূল পাচ্ছিনা।’স্বামী লক্ষীকান্ত জানান, ‘আমি গরিব মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করি।
আরো খবর: বকেয়া DA দিতেই হবে, আগামী ২১ ও ২২ তারিখ পূর্ণদিবস ক’র্ম’বির’তির ডা’ক
পূর্ণিমা নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন।পথে বসে গেলাম। মেয়েকে কী করে পড়াব? জানি না।’ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে স্বাভাবিকভাবেই কপালে ভাঁজ ঘাসফুল শিবিরের। ওন্দা ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি সুবোধ মণ্ডল বলেন, ‘কীভাবে লাইন করেছেন, সেটা লক্ষ্মীকান্তই জানেন।এই ব্যাপারে দল কিছু জানে না। আইন চলবে তার নিজের পথে । আইন সকলের উর্ধ্বে।’