সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

“আমি ইমিটেশন পরি না”, সুদীপার ম’ন্ত’ব্য ঘি’রে নেটিজেনদের স’মা’লো’চ’না

রান্নাঘর মানেই সুদীপা এবং সুদীপা মানেই রান্নাঘর। প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে রান্নাঘরে রাজত্ব করে চলেছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। গর্ভবতী থাকাকালীন রান্নাঘরের দায়িত্ব সামলেছেন অপরাজিতা আঢ্য। তবে রান্নাঘর মানেই আমাদের সকলের আগে মনের মধ্যে ভেসে ওঠে সুদীপার ছবি, তাই হয়তো প্রকৃত অর্থেই এখন রান্নাঘর হয়ে উঠেছে সুদীপার রান্নাঘর। যাকে না দেখলে রান্নাঘর দেখতে সেই ভাবে দেখতে ইচ্ছে করে না।

তবে আমাদের সকলের প্রিয় সঞ্চালিকা এবার নির্বাচনে ব্যাপক আকারে সমালোচিত হয়েছেন। সকালে এক বাক্যে তাকে বলছেন অহংকারী, কেন হঠাৎ করে সুদীপার বিরুদ্ধে এমন কথা বলতে শোনা গেল চলুন শুনে নি। কি এমন গুরুতর কথা তিনি বলে ফেললেন যার ফলে, তাকে নিয়ে মাধ্যমে অপদস্ত হতে হচ্ছে? আসলে সুদীপা খেতে এবং খাওয়াতে সকল কেই ভালোবাসে। তার সঙ্গে ভালোবাসার সাজসজ্জা করতে।

রান্নাঘরের সঞ্চালিকা হবার পাশাপাশি তিনি মাঝে মাঝেই জুয়েলারি এবং শাড়ির প্রমোশনের কাজ করেন। এইসব নিয়েই এবার কটাক্ষের শিকার হতে হলে তাকে। সম্প্রতি সুদীপা নিজের নেট মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন যেখানে ঝাড়বাতি কানের দুলের প্রতি নেটিজেনরা আকর্ষিত হয়েছেন। এই ঝাড়বাতি কানের দুলটা কি সোনার, এই প্রশ্নের উত্তরে হ্যাঁ বা না এমন কোন কথার উত্তর না দিয়ে সুদীপা সরাসরি বলে ওঠেন, আমি কোনদিন ইমিটেশন পরি না।

https://www.facebook.com/SudipaChatterjeeBlog/posts/222389276371131

এই কথা বলার পরেই সুদীপার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ তাকে অহংকারী বলে কটাক্ষ করেছেন কেউ আবার বলেছেন, সোনা থাকলেও এত দম্ভ করার কিছু নেই। কেউ আবার সুদীপার পুরনো দিনের ছবি খুঁজে এনে দেখিয়েছেন যে অনেক জায়গায় ইমিটেশনের গয়না পড়েন সুদীপা।

নেতিজেন দের কাছে উপহাসের পাত্র হয়ে যাবার পর এবার সাফাই গাইতে এসেছেন সুদীপা। কিন্তু সমালোচনার ঝড় এতে কিছু কম হয়নি। যে পোস্ট কে ঘিরে এত কথা সেই পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, এই ঝাড়বাতি দুলটা প্রথম দেখেছিলাম নির্মলাদির কানে। এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে, তাকে বলে ফেললাম। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিজের কান থেকে খুলে দিলেন এই দুলটি। সত্যি তিনি এমনই একজন মানুষ মাটির মানুষ।

তিনি আরো বলেছেন, তবে আমি জানতাম, এটি ওনার প্রিয় একটি কানের দুল। তাই ফেরত দিয়ে দিয়েছিলাম ওনাকে। ওনার আশীর্বাদ আর ভালোবাসায় আমার কাছে সবকিছু। এতদিন পর এই রকম একটি কানের দুল বানাতে পেরে খুব খুশি আমি। কিন্তু কানের দুল পরেও নির্মালাদির মত মাটির মানুষ হতে পারলাম না আমি।