সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভাইপোর অফিসে যাইনি, একের পর এক বি’স্ফো’র’ক অভি’যো’গ করছেন একদা মমতার ছায়াসঙ্গী সোনালী

সোনালী গুহ একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গিনী হিসেবে পরিচিতি ছিলেন। মমতার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং উত্থান তিনি খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করেছেন। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত তৃণমূলের একজন প্রভাবশালী নেত্রী ছিলেন তিনি।

কিন্তু ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনে সোনালিকে ভোটে লড়ার টিকিট দেয়নি রাজ্যের শাসক দল। এই ঘটনায় তিনি খুব ব্যথিত হন। এরপর চোখের জল ফেলে অভিমানে রাতারাতি বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু সোনালির কোন লাভ হয়নি। বিজেপির তরফেও তাকে টিকিট দেওয়া হয়নি।

এই ঘটনার কয়েক মাস পর ক্ষমা চেয়ে সোনালি চিঠি লেখেন মমতাকে। কিন্তু বরফ গলেনি। তৃণমূলের তরফে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি তাকে। তাই তিনি আবারও বিজেপিতে যোগদান করতে চান।

পারিবারিক কারণেই নাকি তিনি বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে পারেননি। এবার থেকে আবার সক্রিয় ভূমিকা নিতে চান তিনি। সম্প্রতি সুকান্তবাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এরপর সোনালি গুহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার আর তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা নেই। হাত জোড় করছি।

আরো খবর: আজ রবিবার, আপনার রাশিফল কি বলছে জেনে নিন (07.05.2023)

আমি ২ বছর অপেক্ষায় ছিলাম। আমি আর তৃণমূলে ফিরব না। তৃণমূলের সমস্ত নেতৃত্বকে নমস্কার জানাই। দিদি ডাকলেও আর যাব না। দিদিকে আমার অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’ অন্যদিকে সূত্রের খবর,সুকান্তবাবু তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, বিজেপি তাকে প্রয়োজন মতো সুযোগ দেবে।

রাজ্যে ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচরীদের আন্দোলনের ১০০ তম দিন ছিল গতকাল। তাই এইদিন রাজ্য সরকারিকর্মীদের যৌথ সংগ্রামী মঞ্চে যান শুভেন্দু অধিকারীর এবং সোনালী গুহ।

সেখান থেকেই সোনালী গুহ বলেন, “ক্ষমতায় আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে না পারলে সরকারের উচিত পদত্যাগ করা। তাহলে বর্তমান সরকারেরও সরে যাওয়া উচিত।”সভাস্থল থেকে বেড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশ্যে সোনালী গুহ বলেন, ” ৩২ বছর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঘর করেছি, অনেক স্মৃতি জমা রয়েছে।”