বর্তমান সমাজে স্বামী অথবা স্ত্রী সকলেরই পরকীয়ার প্রবণতাও অনেকটাই বেড়ে গেছে। এমনই একজন স্বামী সম্প্রতি পরকীয়ায় মজেছিলেন। সময়মতো বাড়ী ফিরতেন না তিনি। এমনই চলছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। শেষ পর্যন্ত স্বামীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেললেন স্ত্রী। স্বামী এবং তার প্রেমিকাকে ধরতে পেরে বেধড়ক পেটালো স্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়াতে আপাতত এই ভিডিওটি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার বিকেলে ওই অঞ্চলে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে যায়। পরে অবশ্য দুই অভিযুক্ত কে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেছেন মহিলার বাড়ির লোকেরা। অভিযুক্তের নাম তারা প্রসাদ মন্ডল, পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাকসার রথ তলার বাসিন্দা তিনি। পেশায় মানকর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক প্রসাদ বাবু। দীর্ঘদিন ধরে সময়মতো আসতেন না তিনি বাড়িতে। প্রায় বেশ কিছু বছর ধরে পরকীয়ায় মজেছিলেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ করেন তারা প্রসাদ মন্ডলের শ্যালক।
পরিচিতদের মাধ্যমে তারা প্রসাদ বাবুর স্ত্রী এবং তার বাড়ির সকলে খবর পেয়েছিলেন, কাঁকসায় সুভাষ পল্লী এলাকার একটি বাড়িতে ওই মহিলাকে নিয়ে মাঝে মাঝেই আসছেন তারা প্রসাদ এবং রাত কাটাতেন। খবরটি পেয়ে সোমবার বিকেলে ওই বাড়িতে হানা দেয় তারা প্রসাদ এর স্ত্রী এবং তার ভাই। সোমবার একেবারে হাতেনাতে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরে ফেলেন তারা।
এরপরই হঠাৎ করে রন মূর্তি ধারণ করেন তারাপ্রসাদের স্ত্রী। স্বামীকে বেল্ট দিয়ে মারতে শুরু করে দেন তিনি। শুধু স্বামী নয়, স্বামীর প্রেমিকাকে ও বেধড়ক মারধর করেন তারা প্রসাদ বাবুর স্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তারাপ্রসাদ বাবুর স্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামী অন্য একজন মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। একদিন তারা প্রসাদের ফোনে ওই মহিলা ফোন করেছিলেন। ফোনটি ধরতে না ধরতেই স্ত্রীকে বেল্ট দিয়ে মারতে শুরু করে দেয় তারা প্রসাদ বাবু।
সেদিন কিছু না বললেও মনে মনে সমস্ত রাগ পুষে রেখে ছিলেন স্ত্রী। এরপর সুযোগ-সুবিধা বুঝে তারই বদলা নিলেন তিনি। খবর পেয়ে কাঁকসা থানা পুলিশ এসে দুজনকে নিয়ে যায়। দুই পরিবারের মানুষেরাই তারা প্রসাদ বাবু এবং তার প্রেমিকার আইনগত শাস্তির দাবি করেছেন পুলিশের কাছে।