সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গত ৯ মাসে কত চা’ক’রি গেল? শুরু হয়েছিল মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে দিয়েই

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালের ২০ মে রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতাকে প্রথম চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। এর পর কম জল ঘোলা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের নাগপাশে আবদ্ধ হয়েছে শাসক দলের তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীরা। একের পর এক শুনানিতে শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি খুইছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক,নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। সর্বমোট হাই কোর্টের নির্দেশে এখনো পর্যন্ত চাকরি খোয়ালেন মোট ৪,৭৮৪ জন।

২০২৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে এসএসসির গ্রুপ ডি-র ১,৯১১ জন কর্মীর চাকরি যায়। এদের সকলকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে বেতন ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে চাকরি যায় নবম – দশম শ্রেণীর ৬১৮ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের। পরে আরও ১৫৭ জন শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ৯৫২ জনের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে।

অভিযোগকারিরা দাবি করেছিল ওএমআর শিট বিকৃতি করে চাকরি পেয়েছিল তারা। বিচারে অভিযোগকারিদের পক্ষে রায় দেয় আদালত এবং ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের রায় মেনে ৬১২ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করে স্কুল সার্ভিস কমিশন।

আরো খবর: স্বামীর ৮ মাস ধ’রে খোঁ’জ নেই, বাড়ির আলমারি থেকেই ম’মি হওয়া দে’হ পেলো স্ত্রী

আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুব্রত তালুকদার ও সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন ৮০৫ জন বহিষ্কৃত শিক্ষক।ফলে কমিশনের এই সিদ্ধান্ত কিছুদিন স্থগিত ছিল। পরে সেই মামলার শুনানি হয়।ডিভিশন বেঞ্চ জানায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল থাকবে, সেই রায়ের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না।

ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে,’ বহিষ্কৃত শিক্ষকদের চাকরি থাকবে কিনা তার সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে কমিশনই।প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব কিছু আইন কানুন রয়েছে। তারা সেই আইন মেনেই চলবে। সেক্ষেত্রে কমিশনের আইন অনুযায়ী যদি শিক্ষকদের বহিষ্কার করা হয়, তাহলে সেটাই শেষ কথা। ‘ ডিভিশন বেঞ্চ-এর এই নির্দেশের পরই কমিশন একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।সেখানে বলা হয়েছে ,এসএসসি নিজেদের আগের সিদ্ধান্তেই বহাল থাকবে।

গত ১০ মার্চ, শুক্রবার গ্রুপ সি’তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত বাগ কমিটির সুপারিশের ফলে চাকরি হারান ৯৯০ জন কর্মীর। গত বছরের মে-জুনে গ্রুপ ডি-র ৬০৯ এবং গ্রুপ সি-র ৩৮১ জনকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদের সকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে এরা অসৎ উপায় অবলম্বন করে চাকরি পেয়েছেন।