সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ধনতেরাসে ঘর থেকে অলক্ষ্মীকে তা’ড়া’তে ঝাঁটা কে’না’র হি’ড়ি’ক

সামনেই দীপাবলি গোটা ভারত জুড়ে পালন করা হয় এই উৎসব। আর এই উৎসব নিয়ে নানা জাতিতে নানা নিয়ম আছে। তবে আমাদের দেশ যেহেতু গণতান্ত্রিক দেশ, বিভিন্ন ধর্মীয় মানুষ নিয়েই গোটা ভারত তাই যে যার নিয়ম অনুযায়ী পালন করেন বিভিন্ন উৎসব। যেমন এই দীপাবলিতে বাঙালিরা মা কালীর পূজা করেন। কালীপুজোর পরেরদিন লক্ষী পুজো হয়। তাই ভূত চতুর্দশীর আগে ঝাঁটা দিয়ে অলক্ষ্মীকে বিদায় ঝেঁটিয়ে বিদায় দিয়ে লক্ষ্মীকে স্বাগত জানানো হয়।

এরকম বাঙালি অবাঙালি সকলেই নানা ভাবে পূজো করেন। তবে সব নিয়মেই এই উৎসবে ঝাঁটা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর সেই কারণেই কালীপুজোর আগের দিন বা ধনতেরাস – এর দিন ঝাঁটা কেনার হিড়িক পড়ে যায়। এতটাই ডিমান্ড বেড়ে যায় যে দোকানদাররা কুলিয়ে উঠতে পারেন না। আর এই নিয়েই সাঁইথিয়ার ঝাঁটা সরবরাহের পাইকারি বিক্রেতা সুজিত ঘোষ বলেন, ধনতেরাস আসতেই এখন প্রতিদিন একশো বান্ডিলের বেশি ঝাঁটা বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিটি বান্ডিলে ১৫ টি করে ঝাঁটা থাকে। পাইকারি হিসাবে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা করে বিক্রি হয়। এছাড়াও, বর্তমানে আরামবাগ, কাটোয়ার দাঁইহাট ,বজবজ এমনকি উত্তর প্রদেশ থেকে ট্রাক বন্দি করে কাঠি নিয়ে আসা হয়। ঝাঁটা প্রস্তুত কারক বাসুদেব পাত্র জানান যে, ‘গত কয়েক বছর আগেও এমন ঝাঁটার চাহিদা ছিল না। কিন্তু এখন কালীপুজোর আগে ধনতেরাস উপলক্ষ্যে ঝাঁটার সরবরাহ দিতে হিমসিম খেয়ে যাচ্ছি’।

কিন্তু কেনো কেনা হয় ধনতেরাস – এর দিন ঝাঁটা ও সোনা রূপো আসুন একটু জেনে নিই।এই নিয়ে অনেক গল্পই কথিত আছে তার মধ্যে যেমন একটি হলো – অনেক কাল আগে রাজা হিমার বলে এক রাজা ছিল। আর তার ১৬ বছরের একটি ছেলে ছিল। কিন্তু কোনো অভিশাপ বশত ভবিষ্যৎবাণী হয় যে সেই ছেলের বিয়ের চারদিনের মাথায় সাপের কামড়ে মৃত্যু হবে। আর এই দৈববানী শোনার পর থেকেই ভাবতে থাকে কিভাবে তিনি তার স্বামীকে বাঁচাবেন।

আর তাই ওই রাজপুত্রের স্ত্রী সেই অভিশপ্ত রাত্রে স্বামীকে জাগিয়ে রেখে শোয়ার ঘর পরিস্কার রেখে চারিদিকে সমস্ত সোনার গহনা ও সোনা রুপার মুদ্রা ফেলে রাখে। সঙ্গে জ্বালিয়ে দেয় বাতি। মৃত্যুর দেবতা এসে রাজপুত্রের শোবার ঘর পর্যন্ত যান ঠিকই কিন্তু সোনার গহনার জৌলুসে কাজ অসম্পুর্ণ রেখে চলে আসে।

সেই থেকে ঘর পরিষ্কার ও দামি ধাতু কেনার প্রচলন। এছাড়াও বাঙালিরা ঝাঁটা কেনেন মা লক্ষ্মীর পূজায় সকল ময়লা আবর্জনা দুর করে সকল অলক্ষ্মী দশাকে বের করে মা লক্ষ্মীর আগমনের জন্য তারা আয়োজন করেন। তাই সেইদিন তারা একটি হলেও নতুন ঝাঁটা কেনেন।