সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, হবে ঝো’ড়ো হা’ও’য়া, আগামী কয়েকদিন রা’জ্যে বা’ড়’বে দু’র্যো’গ

ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবার। রাজ্যে নেমে আসতে চলেছে দুর্যোগ। ইয়াসের মত দুর্যোগের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি থেকে এখনো মানুষ সামলে উঠতে পারেনি তার মধ্যেই আবার নতুন দুর্যোগের কথা জানানো হলো আবহাওয়া দপ্তর এর মাধ্যমে। আবার দেখা দিচ্ছে দুর্যোগের আশঙ্কা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, কিছুদিন ধরে রাজ্যে বেশ ভারী রকমের বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

নতুন করে আবার নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যার জন্যই চলতি মাসের ১৪ তারিখ পর্যন্ত হতে পারে অনেক ভারী বৃষ্টি। হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, ঝারগ্রাম ইত্যাদি অঞ্চলে বেশ ভারী রকমের বৃষ্টি হতে পারে সেই সতর্কতাঃ জানালো আবহাওয়া দপ্তর এর তরফ থেকে।

ইতিমধ্যেই বীরভূম,পুরুলিয়া, মেদিনীপুর ইত্যাদি অঞ্চলে সতর্কবার্তা জানানো হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, ভারী বৃষ্টি একদিকে যেমন চলবে তেমনি তার সাথে চলতে পারে ঝোড়ো হওয়া এবং যার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি। গত রবিবার এবং সোমবারে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে, সাথে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এই সমস্ত অঞ্চলে যে ভারী বৃষ্টি হতে পারে সেই সর্তকতা জারি করা হয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এর তরফ থেকে।

সমুদ্রে যাতে কোন মৎস্যজীবীরা না যায় সে বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। ১৪ তারিখ অব্দি সমুদ্রে যেন কোন মৎস্যজীবী না যায় সেটা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে হালিশহর, অশোকনগর, ব্যান্ডেল এবং শান্তিপুরে টর্নেডোর প্রকোপ আছড়ে পড়ল।

খবর সূত্রে জানা গেছে যে, হঠাৎই হুগলি নদীর ওপর একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয় এবং যার ফলে তৈরি হয় টর্নেডো যার প্রকোপে অবিরত ঘুরতে থাকে নদীর জল। সেই মুহূর্তে নদীর পাশে কাজ করছিল কর্মীরা যারা নদীর পাড় ভেঙে যাওয়ার কাজে ব্যস্ত ছিল। হঠাৎই, নদীর উপর যেভাবে এরকম একটি টর্নেডো তৈরি হয় সেটা দেখে তারা প্রচন্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। জানা যায় যে, প্রায় আধঘন্টা ধরে এই টর্নেডো তার প্রকোপ চালিয়েছিল।