সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভুঁড়ি বা’ড়া’নো’ই হ’লো তাদের জীবনের একমাত্র ল’ক্ষ্য, এতেই প্র’মা’ণ হয় তাদের পুরুষত্বের

৬ প্যাক, ৮ প্যাক না থাকলে পুরুষদের হ্যান্ডসাম ক্যাটাগরির আওতায় ধরাই হয়না। সারা বিশ্ব যখন এই নীতিতে বিশ্বাসী তখন ইথিওপিয়ার ওমো উপত্যকার বৌদি গোত্রের উপজাতিরা হাঁটেন উল্টো পথে। তাদের বিশ্বাস যে পুরুষ যত বেশি মোটা, যার যত বেশি ভুঁড়ি রয়েছে, তিনিই তত বেশি সুপুরুষ, বলতে গেলে ওই অঞ্চলে পুরুষের পুরুষত্বের প্রমাণ হলো ভুঁড়ি। বেলি ফ্যাট কমানোর জন্য সারা বিশ্বের পুরুষেরা যেখানে শারীরিক কসরত করেন সেখানে ভুঁড়ি বাড়ানোর জন্যই পরিশ্রম করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

আর এর জন্য তারা নিয়মিত গরুর রক্ত এবং দুধের মিশ্রন পান করেন। তবে গো-হত্যা তারা করতে চান না। গরুকে আঘাত করে তার শরীর নিঃসৃত রক্ত দুধের সঙ্গে মিশিয়েই পান করেন ওই উপজাতির পুরুষেরা। প্রতিদিন সকালে এক লিটার গরুর রক্ত এবং এক লিটার দুধ তাদের নিয়মিত পান করতে হয়। এরপর অবিবাহিত পুরুষদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

প্রতিযোগিতার শেষে প্রতিযোগিদের মধ্য থেকে সবথেকে বেশি ভুঁড়িওয়ালা এবং মোটা ব্যক্তিকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচন করা হয় এবং তার মাথায় ওঠে বিজয়ীর মুকুট। এই প্রথা চলে আসছে বহু বছর ধরে। ইথিওপিয়ার ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রতিযোগীর চাহিদা সম্পূর্ণভাবে খেয়াল রাখা হয়। অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত মোটা হওয়ার কারণে হাঁটতে গিয়েও সমস্যায় পড়ছেন প্রতিযোগীদের একাংশ।

প্রতিযোগিতার জন্য প্রত্যেক পরিবার থেকে একজন করে অবিবাহিত পুরুষের নাম লেখানো হয়। এরপর তারা ক্রমাগত খেয়ে খেয়ে নিজেদের ওজন বৃদ্ধি করেন এবং প্রতিযোগিতার দিনে সারাদেশে ছায় মেঘে একটি নির্দিষ্ট পবিত্র গাছকে প্রদক্ষিণ করেন বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে। প্রদক্ষিণ শেষ হলে তাদের পেট মাপা হয়। যার পেটের সাইজ সবথেকে বড়, তাকেই বিজয়ী হিসেবে নির্বাচন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অবশ্য কয়েক সপ্তাহ কম খেয়ে পুরুষের আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেন।