সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মহাদেবকে খু’শি করতে এই প্রথম বাঁক কাঁ’ধে বের হচ্ছেন? নিয়ম জা’না আ’ছে কি?

আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে শ্রাবণ মাস এবং শ্রাবণ মাস মানেই আমাদের মহাদেবের মাস। শ্রাবণ মাস শুরু হতেই তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে মহাদেবের অসংখ্য ভক্ত। এই যাত্রায় পবিত্র নদী বিশেষত গঙ্গার জল কলসিতে ভরে তারকেশ্বরের উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রচুর মানুষ।

তবে শুধুমাত্র তারকেশ্বর নয় বিভিন্ন প্রসিদ্ধ শিব মন্দিরে এই সময়ে বাবার মাথায় জল দেওয়ার উদ্দেশ্যে বহু যাত্রী বেরিয়ে যান বাড়ি থেকে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও কাঁধে বাঁক নিয়ে প্রচুর সংখ্যক শিব ভক্ত শিব মন্দিরে জড়ো হন। তবে যাত্রার সঙ্গে জড়িত নানান তথ্য এবং নিয়ম আমাদের অনেকেরই অজানা। যা আজকে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

মনে করা হয় ক্রেতা যুগের শ্রবনকুমার প্রথম বাক কাঁধে যাত্রা শুরু করেছিলেন। নিজের দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ বাবা মাকে তীর্থ করানোর জন্য তিনি হিমাচলের উনায় ছিলেন। সেখানে গঙ্গা স্নান করার পর গঙ্গা জল নিয়ে তিনি ফিরে আসেন।। প্রচলিত তথ্য অনুযায়ী এরপর তিনি বাক কাঁধে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন।

আরো পড়ুন: মৎস্যজীবীর জালে উঠলো ১৬ ফুট ল’ম্বা “ওরফিশ”, এই মাছ না’কি সুনামির বা’র্তা দি’য়ে থাকে!

আবার অনেকে মনে করেন সমুদ্র মন্থনের সময় এই কাঁধে বাক নিয়ে যাত্রা সূচনা শুরু হয়েছিল। আমরা সকলেই জানি সমুদ্র মন্থনের সময় নির্গত বিষ পান করায় শিবের গলা নীল হয়ে যায় এবং জ্বালা করতে শুরু করে দেয়।

বিষের প্রভাব দূর করার জন্য শিব ভক্তর রাবণ তপ করেন এবং দশানন বাকে জল ভরে নিয়ে আসেন এবং সেই জল দিয়ে শিবের জলাভিষেক করেন। এরপরই বিষের প্রভাব থেকে মুক্তি লাভ করেন শিব।

আমরা সকলেই জানি শিব এমন একজন দেবতা যিনি সহজে প্রসন্ন হয়ে যান। ভক্তদের মনে শিবের প্রতি শুদ্ধ ভক্তি তাকে প্রসন্ন করতে পারে। মাত্র একটি পাত্র জল শিবের মাথায় ঢাললেই তিনি তুষ্ট হয়ে যান তাই প্রতিবছর শ্রাবণ মাসে যাত্রা করে ভোলানাথ কে প্রসন্ন করার চেষ্টা করেন।

ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী এই যাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই যাত্রায় অংশগ্রহণকারী ভক্তরা পবিত্রতা এবং স্বচ্ছতার বিষয়টি মেনে চলেন তারা স্নান না করে বাক স্পর্শ করেন না।

বাঁক কাধে যাত্রা শুরু করার পর গন্তব্যে পৌঁছানোর পরেও সেটি কোনভাবেই মাটি স্পর্শ করাবেন না। যাত্রার পথে পথে ভক্তরা বিশ্রাম যেখানে করেন সেই জায়গায় উঁচু স্থানে সেই বাক রেখে দেওয়া হয়, বা অনেক সময় টাঙিয়ে রেখে দেওয়া হয় সেই বাক।

যাত্রা সময় যে কোন নেশা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন। যাত্রা সময় মাংস অথবা রসুন পেঁয়াজ খেলে সেই যাত্রা ভঙ্গ হয়। যে সমস্ত মানুষ এই খাদ্যবস্তু খান তারা যে জলাভিষেক করেন তা শিব গ্রহণ করেন না।

পবিত্র নদীর জল দিয়ে ভোলানাথের জল অভিষেক করতে হয়। খালি পায়ে এই যাত্রা করতে হয। যাত্রা সূচনা করা থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত খালি পায়ে হাঁটতে হয়।