সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প’ড়ু’য়া’দে’র স্কলারশিপেও জা’লি’য়া’তি, কৃষক-শ্রমিকদের নামে নয়ছয় কো’টি কো’টি টা’কা

মমতা সরকারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বহুবার জালিয়াতি, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আমফান ত্রান দুর্নীতি নিয়ে ইতিপূর্বে সরকারের বহু সমালোচনা হয়েছে। ত্রাণের টাকা নিয়ে নয়ছয়, স্বজনপোষণ নিয়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছিল বিরোধী শিবির। তবে এবার রাজ্যে আরো একবার সরকারী টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো। তবে সরকারের বিরুদ্ধে নয়, এবারের অভিযোগ এক জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে।

জানা গিয়েছে এক সক্রিয় জালিয়াত চক্রের কথা, যে চক্র সরকারি টাকা সকলের অজান্তেই নয়ছয় করে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। কখনও পড়ুয়াদের স্কলারশিপের টাকা কখনও বা সরকারের পাঠানো অন্যান্য সাহায্য বাবদ আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে দুর্নীতি করেছে এই জালিয়াত চক্র। আসল প্রাপকের কাছে টাকা না পৌঁছে গায়েব হয়ে যাচ্ছে টাকা। এমনকি অন্য ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে সেই টাকা।

এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে অনেকেই ইতিমধ্যেই নিজেদের অভিযোগ জানাতে শুরু করেছেন। তাদের দাবি, তারা জানেনই না তাদের একাউন্টে কোথা থেকে টাকা আসছে। এমনকি তারা এও জানাচ্ছেন যে ইতিপূর্বে টাকার জন্য তারা কোথাও আবেদন জানাননি। উত্তর দিনাজপুরের করুনাদিঘিতে সম্প্রতি ঘটেছে এই ঘটনা। এই এলাকার বিভিন্ন জেরক্সের দোকান থেকে বাসিন্দাদের আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের জেরক্স সংগ্রহ করছে এই জালিয়াত চক্র।

এরপর সেই নথি নিয়ে ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে ব্যক্তির নাম রেজিস্ট্রি করে সরকারি স্কলারশিপের জন্য আবেদন জানাচ্ছে এই জালিয়াত চক্র। এরপর সেই টাকা ঢুকে যাচ্ছে নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে। এভাবেই সরকারের তহবিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিচ্ছে জালিয়াত চক্র। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে অশিক্ষিত শ্রমিকরাই হচ্ছেন এই জালিয়াত চক্রের টার্গেট। উত্তর দিনাজপুরের আলতাপুর, লাহুতারা সহ বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় রয়েছে এই জালিয়াত চক্র। প্রশাসনকে এ সম্পর্কে অভিযোগ জানালেও তেমন সুরাহা হচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।