সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

প্রাচীন প্র’থা মে’নে রাজার শহরে শু’রু হ’লো বড়দেবী দুর্গা মায়ের পু’জো

কোচবিহার যে রাজাদের শহর তা আমরা সকলেই জানি। যেকোনো পরিস্থিতিতে রাজ আমলের নিয়ম আজও অটুট এবং অক্ষুন্ন থাকে কোচবিহারে। প্রাচীন প্রথা মেনে বড় দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু হলো রাজার শহর অর্থাৎ কোচবিহারে। প্রাচীন রীতিনীতি মেনে সোমবার শ্রাবণ মাসের শুক্লা অষ্টমীর দিন ময়নাকাঠে পুজো দিয়ে বড় দেবীর পুজো শুরু হয়ে গেল। এই পুজোতে পায়রা বলির নিয়ম রয়েছে। এছাড়া পুজোতে পরমান্ন ভোগ দেওয়া হয়।

পুজো শেষে রাজপরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে অজয় কুমার বাবু এসে ময়না কাঠকে আহবান করেন এবং পরে পালকি চাপিয়ে ময়না কাঠকে এই মন্দির থেকে মদনমোহন মন্দিরে নিয়ে আসেন। পরে আরো একবার রাধা অষ্টমী তিথিতে দেবীবাড়িতে বড় দেবীর মন্দিরে নিয়ে আসা হয় ময়না কাঠকে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তিনদিন হাওয়া খাওয়ানো হয় ময়নাকাঠকে। মহারাজাদের আমল থেকে এই রীতি চলে আসছে। বড় দেবীর পুজো, ৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো। প্রতিমার কাঠামো তৈরি হয় ময়নাকাঠ দিয়ে। এই কাঠের পুজোর মধ্যে দিয়ে বড় দেবীর পূজার সূচনা হলো আজ।

পুজোর ব্যস্ততা।

এক সময় এই পুজোতে নরবলি দেওয়া হতো। তবে এই নিয়ম এখন আর নেই। দুর্গাপূজার সময় গুপ্ত পুজোতে নর রক্ত লাগে, যেটি আঙ্গুল কেটে বের করে দেওয়া হয়। বুধবার গৃহ পুজোর পর শুরু হয়ে যায় দেবীর প্রতিমা বানানোর কাজ। রাধা অষ্টমীতে ময়না কাঠের এই দণ্ডটি চলে আসে এই মন্দিরে। রাজপুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের কথায়, শুক্লা অষ্টমী তিথিতে ময়না কাঠের পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এক মাস ধরে শক্তি দন্ডের পুজো করা হয় মদনমোহন মন্দিরে। এরপর রাধা অষ্টমী তিথিতে এই দণ্ডটি নিয়ে আসা হয় বড় দেবীর মন্দিরে। পুজো শেষে হলে হওয়া খাওয়ানোর পর বড় দেবীর প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়ে যায়। মহারাজের অবর্তমানে পুজো পরিচালনার দায়িত্ব দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ড সামলে নেয়।