বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই টাকা রোজগারের জন্য অনেক কিছু করে থাকেন। বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণ সহ নানাবিধ কারণে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ের প্রচেষ্টায় থাকেন অনেকে।
সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগের ব্যবস্থা থাকলেও বহু মানুষ পোস্ট অফিসের উপর নির্ভরশীল। বেশি সুদ এবং নির্ভরশীলতার দিকে নজর রেখে তারা পোস্ট অফিসে বিনিয়োগ করে থাকেন।
পোস্ট অফিসের কোন স্কিমে কি সুবিধা?
১। মান্থলি ইনকাম স্কিম: মাসে ১০০০-এর গুণিতক আকারের রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে পোস্ট অফিসের মান্থলি ইনকাম স্কিমের মাধ্যমে। ৬.৬% সুদ পাওয়া যেতে পারে এই প্রকল্পের আওতায় বিনিয়োগ করে। সিঙ্গেল অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৪.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যায়।
আরো পড়ুন: Bata জুতো কোম্পানির স’ঙ্গে ব্যবসা করবেন? কত রোজগার হ’বে জেনে নিন
২। সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: বাৎসরিক হিসাবে এই প্রকল্পে সুদের হার দেওয়া হয়ে থাকে । সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা থেকে বিনিয়োগ করা যায়। সুদের হার দেওয়া হয়ে থাকে ৭.৬ শতাংশ। কন্যা সন্তানের বয়স ১০ বছর হওয়ার আগে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়।
৩। রেকারিং ডিপোজিট: রেকারিং ডিপোজিট প্রকল্পে কোয়ার্টারলি সুদের হার ৫.৮%। যে কোন ব্যক্তি এই প্রকল্পে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকেই তার বিনিয়োগ করতে পারেন। সিঙ্গেল অথবা জয়েন্ট, যেকোনোভাবে এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
৪। পোস্ট অফিস টাইম ডিপোজিট: এই প্রকল্পে বছরে বিনিয়োগ করতে হয়। যদিও এর সুদ দেওয়া হয়ে থাকে কোয়ার্টারলি। মাত্র ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করেই এই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
১ থেকে ৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা যেতে পারে এই প্রকল্পে। এক থেকে তিন বছর পর্যন্ত সুদের হার থাকে ৫.৫০ শতাংশ। অন্যদিকে পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করা হলে সুদের হার পাওয়া যায় ৬.৭০ শতাংশ।
৫। ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট: গ্রাহকরা এই প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারবেন। সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। পাঁচ বছর মেয়াদে সুদের হার