সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

নিজের বাড়িতে থা’কা’র পুরোপুরি অ’ধি’কা’র আছে বয়স্কদের, ঘর ছা’ড়’তে হলে যে’তে পারেন ছেলে-বৌমা: হাইকোর্ট

আমাদের সমাজে প্রবীণ পিতা মাতার সেবা করা তো দূর অস্ত, তাদের বাড়িতে রাখা ও যেন কষ্টকর হয়ে যায় ছেলে মেয়েদের পক্ষে। তাই উত্তরোত্তর আমাদের সমাজে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অসহায় বাবা মায়েদের শেষ আশ্রয় হিসাবে বেছে নিতে হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রম। কিন্তু এবারে কলকাতা হাইকোর্ট বয়স্ক বাবা মায়েদের জন্য নিয়ে এলেন একটি নিয়ম যার ফলে, প্রবীণ পিতা-মাতা নিজেদের বাড়িতে বসবাস করার সম্পূর্ণ অধিকার পাবেন। প্রয়োজনে নিজের পুত্র এবং পুত্রবধূকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দিতে পারেন তিনি।

শুক্রবার এক মামলার পর্যবেক্ষণে কলকাতা হাই কোর্ট এই রায় দিয়েছেন। তার মতে, সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যেকোনো বয়স্ক ব্যক্তির নিজের বাড়িতে থাকার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। প্রয়োজনে নিজের ছেলে মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারেন তারা। নদীয়ার এক প্রবীণ ব্যক্তি নিজের পুত্র ও পুত্রবধু অত্যাচারে বাড়িছাড়া হওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করেছিলেন।

শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজ শেখর মান্থা জানিয়েছেন, একজন প্রবীণ নাগরিক এর নিজস্ব বাড়িতে বসবাস করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। যদি এটি না হয় তাহলে সংবিধানের 21 অনুচ্ছেদ এর আওতায় থাকা জীবনের মৌলিক অধিকার এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার ভঙ্গ হতে পারে। জীবনের সূর্যাস্তের সময় কোনো নাগরিককে আদালতে যেতে বাধ্য করা সত্যিই একটি বেদনাদায়ক কথা। যে জাতি নিজের অসুস্থ মা বাবা যত্ন নিতে পারে না, সে সম্পূর্ন সভ্যতা অর্জন করেছে বলে গণ্য করা যায় না।

আবেদনকারীর ওপর অত্যাচারের অভিযোগে আদালত তদন্ত করার নির্দেশ দেন তাহেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে, সাথে নির্দেশ দেওয়া হয় যদি পুত্র এবং পুত্রবধুর সাথে বসবাস করতে অস্বস্তি বোধ হয় তাহলে প্রয়োজনে পুত্র ও পুত্রবধূকে বাড়ি থেকে বার করে দিতে পারেন ওই দম্পতি। ২০০৭ সালের প্রবীণ নাগরিক আইন অনুযায়ী, কোন বয়স্ক ব্যক্তির তার বাড়ীতে থাকার সম্পূর্ণ অধিকার আছে তবে ২০০৫ সালের আইন অনুযায়ী, পারিবারিক হিংসা আইন অনুযায়ী, পূত্র এবং পুত্রবধূদের রক্ষা করার কথা বললেও বাসস্থানের সুনির্দিষ্ট কোন ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।