সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

আপাদমস্তক ঋ’ণে ডু’বে? এই ৭ উ’পা’য়ে চিন্তা’মুক্ত হন

অনেকেই আছেন যারা সঞ্চয় করতে পারেন না। ধনসম্পত্তি আপনার কাছে থাকলেও সেই সমস্ত অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন না আপনি। উল্টে প্রচুর ধনসম্পত্তি চলে যায় আপনার কাছ থেকে।

এমন যদি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে কুবেরের পুজো করতে হবে। যদি আপনি প্রত্যেকদিন কুবেরের পুজো করেন তাহলে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন সহজেই।

জীবনের কোন না কোন সময়ে ঋণের বোঝা এতটাই বেড়ে যায় যে আমরা পেরে উঠি না। এক্ষেত্রে হিন্দু শাস্ত্র মতে বর্ণিত এমন কিছু উপায় রয়েছে যা আপনাকে ঋণ মুক্ত করতে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুন: ট্রেনের কোচ পুরোটাতেই কাঁচের, কলকাতা থে’কে এই ট্রেনে ঘু’রে আসুন দেশের ৩ টি জা’য়’গা

কুবেরের পুজো করুন: বাড়িতে যদি ঠাকুর ঘর থাকে সেই ঠাকুরঘরে আপনি কুবেরের মূর্তি রেখে নিয়মিত পুজো করুন। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, রামের পূর্বপুরুষ রাজার ওকে প্রচুর স্বর্ণ দিয়েছিলেন কুবের।

ঋণগ্রস্ত মহারাজার রঘু যখন কুবেরের উপর আক্রমন করেন তখন আত্মরক্ষার জন্য কুবের সমীর পাতাকে সোনায় পরিণত করে দেন। এই সোনা দিয়ে নিজেকে ঋণমুক্ত করেছিলেন রঘু। তাই প্রত্যেক দিন কুবেরের পুজো করতে বলা হয়।

ঋণ মুক্তেশ্বর মন্দিরে গিয়ে পূজা দিন: ঋণে যদি আপনি জর্জরিত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ঋণ মুক্তেশ্বর মন্দিরে গিয়ে হলুদ কাপড় দিয়ে যদি পুজো করেন তাহলে আপনার ঋণ মুক্ত হয়ে যেতে পারে।

হলুদ রঙের কাপড়ে ছোলার ডাল, গোটা হলুদ এবং গুড় বেঁধে দিয়ে নিজের মনস্কামনা বলে ঠাকুরের কাছে অর্পণ করলে সমস্ত ঋণ থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন আপনি।

শিবের মন্ত্র জপ: ঋণ শোধ করার পরেও যদি বারবার ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাহলে অবশ্যই শিবলিঙ্গে আখের রস দিয়ে অভিষেক করুন। ওম নমঃ শিবায় বা মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র ১০৮ বার জপ করুন। পাশাপাশি দেবাদিদেব কে নিজের সমস্যার কথা জানান দেখবেন আস্তে আস্তে আপনার ঋণ থেকে মুক্ত হয়ে গেছেন।

আরো পড়ুন: স্বয়ং মহাদেবের আশীর্বাদ র’য়ে’ছে এই ৪ রাশির জাতক-জাতিকাদের উ’প’র

অসত্থ গাছের উপায়: ঋণের কারণে অত্যাধিক দুশ্চিন্তায় যদি আপনি ভোগেন তাহলে অবশ্যই শনিবার সন্ধ্যেবেলা অসত্য গাছের নিচে আটা দিয়ে তৈরি চার মুখী প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। এমন কাজ করলে মনে করা হয় আপনার প্রার্থনা খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণ হয়ে যাবে কারণে শনিবার অসত্থ গাছের সমস্ত দেবদেবী বাস করেন।

বজরংবলীর পুজো: ঋণ মুক্তির জন্য ২১ টি শনিবার হনুমান মন্দিরে গিয়ে এগারোবার শ্রদ্ধা ভক্তি করে হনুমান চল্লিশা পাঠ করলে আপনার ঋণ কেটে যাবে।

লক্ষ্মীর আশীর্বাদ: লক্ষ্মীকে সাদা রঙের জিনিস যেমন পায়েশ অথবা দুধ দিয়ে যদি পুজো করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সমস্ত ঋণ থেকে মুক্ত হতে পারেন। মনে রাখবেন এই প্রসাদ বাড়ির গৃহলক্ষী অথবা পরিবারের সব থেকে বয়স্ক মহিলা সদস্যকে সম্মান সহ বিতরণ করতে হবে।

মসুর ডালের উপায়: ঋণ মুক্তির জন্য প্রত্যেকদিন লাল মুসুর ডাল দান করুন। এইভাবে আস্তে আস্তে আপনার ঋণ কমতে শুরু করে দেবে। পাশাপাশি মঙ্গলবার যদি শিবলিঙ্গে মসুর ডাল এবং জল অর্পণ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ঋণ থেকে আপনি খুব তাড়াতাড়ি মুক্ত হতে পারেন।