সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বৈশাখী অমাবস্যায় এই কাজগুলো করুন, এই তিনটি দো’ষ থেকে মিলবে মু’ক্তি!

চলতি বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে বৈশাখ অমাবস্যায়। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী অমাবস্যার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিন যদি স্নান এবং দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনে যদি কিছু জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় প্রতিকার করা হয় তবে একজন ব্যক্তিকে তিনটি বড় দোষ থেকে মুক্তি দিতে পারে। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা জানবো সেই তিনটি ব্যবস্থার সম্পর্কে।

এই বছরে বৈশাখী আমাবস্যা পড়েছে ১৯শে এপ্রিল সকাল ১১:২৩ থেকে ২০ এপ্রিল সকাল ৯: ৪১ মিনিট পর্যন্ত। বৈশাখ অমাবস্যা ২০ এপ্রিল সূর্যোদয়ের সময় উদযাপিত হবে। এই সময়ে শনির দোষ ,সাড়ে সাতি ,ধাইয়া দোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার যোগ রয়েছে।

এই দিনে দক্ষিণ ভারতে শনি জয়ন্তীর উৎসব পালিত হয় এই দিন শনিদেবের জন্মদিন। কথিত রয়েছে যেই দিনে যদি কোন বিশেষ ব্যবস্থা তবে শনি ধাইয়া ,শনির দোষ এবং সাড়ে সাতি থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভব। এই সময়ে যদি শনিদেবের আরাধনা করা হয়, তবে শনিদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

এই দিনে মন্দিরে গিয়ে কালো তিল, সরিষার তেল, কালো বা নীল কাপড় যদি নিবেদন করা যায় তবে খুব ভালো হয়। এছাড়া শনি কবজ এবং শনি চালিসা পাঠ করা উচিত এই দিনে। পিতৃ দোষকে শাস্ত্র মতে বড় দোষ বলে মনে করা হয়।

আরো খবর: কিছুটা স্ব’স্তি’র খবর, চলতি সপ্তাহেই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যের এই কয়টি জেলায়!

কথিত আছে এতে পুরো পরিবার অশান্ত থাকে এবং কোন ব্যক্তির বাড়িতে কোন উন্নতি হয় না, এমনকি যেকোনো ব্যক্তির বংশ এগিয়ে যেতে পারে না। তাই বৈশাখ অমাবস্যা দিনে পিতৃপুরুষদের জল নিবেদন করুন এবং পিণ্ডদান করুন এতে পূর্বপুরুষেরা সন্তুষ্ট হয় এবং তাদের বংশধরদের আশীর্বাদ করেন।

কুণ্ডলীতে অন্যান্য গ্রহের সঙ্গে রাহু কেতুর বিশেষ অবস্থানে কালসর্প দোষের সৃষ্টি হয়। এতে কাজে নানারকম সমস্যা আসে, সাফল্য পাওয়া যায় না। সেই কারণে এই দিন এমন কিছু আছে যা করলে কাল সর্প দোষ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

বৈশাখ অমাবস্যার দিনে স্নানের পর সোনার সর্প নাগিনীকে পুজো করার নিয়ম নীতি রয়েছে এরপরে তাদের জলে প্রবাহিত হতে দিতে হয়। প্রতিকারটি করলে অত্যন্ত উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া কালসর্প দোষ কাটাতে শিবের পূজা করুন। কথিত রয়েছে যে শিবের পুজো করলে কাল সর্প দোষ কেটে যায়।