সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেব-দেবীর এমন কো’নো মূর্তি ঠাকুরঘরে ভু’ল করেও রাখবেন না, নিজেরই বি’প’দ বা’ড়’বে!

হিন্দু ধর্মে দেব – দেবীদের পূজার্চনা নিয়ে অনেক বিধি – বিধান রয়েছে। আর তাই অনেক নিষ্ঠার সাথে দেবতাদের পূজা হয়। এছাড়াও যেহেতু হিন্দু সমাজে দেবতাদের রোজ পূজো করার রীতি রয়েছে তাই বাঙালিদের প্রতিটি ঘরে ঘরেই দেব দেবীদের মূর্তি পূজা করা হয়। কিন্তু এমন অনেক দেব – দেবী রয়েছেন যাদের মূর্তি বাড়িতে রাখা ভালো নয়। এতে পরিবারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন দেবতার মূর্তি আমরা বাড়িতে রাখবো না বা পূজো করবো না।

১. দাঁড়িয়ে থাকা লক্ষ্মীর মূর্তি :- হিন্দু মতে একটা প্রবাদ আছে মা লক্ষ্মী চঞ্চলা। আর মা কে ধরে রাখতে সকল মানুষই চান। কিন্তু মা লক্ষ্মীকে কখনো এক জায়গায় দেখা যায়না। শাস্ত্রে বলক্ষ্মীর বিভিন্ন মুদ্রার ছবি ও মূর্তির উল্লেখ পাওয়া যায়। তাতে কোথাও লক্ষ্মী পদ্মের ওপর বসে আবার কোথাও দাঁড়িয়ে। কিন্তু শাস্ত্র মতে বলা হয় যে, কোনো বাড়িতেই কখনও লক্ষ্মীর দাঁড়িয়ে থাকা মুদ্রার ছবি বা প্রতিমা রাখতে নেই। মনে করা হয় এম মূর্তি রাখলে অর্থ স্থায়ী হয় না। আর্থিক সংকট দেখা দিতে পারে।

২. শঙ্করের নটরাজ মূর্তি :- শিব শম্ভুকেই শঙ্কর ও বলা হয়। আর এই শিবের নৃত্যরত রূপের প্রতিমা অর্থাৎ তাঁর নটরাজ স্বরূপের মূর্তি নাকি বাড়িতে না রাখাই ভালো। কারণ শিব সাধারণত তখনই নৃত্য করেন যখন তিনি কোনও কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে যান। তাই বাড়িতে শিবের তাণ্ডবের মূর্তি অর্থাৎ নটরাজ মূর্তি বা ছবি লাগানো উচিত নয়। শিবের এই মূর্তি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, পারস্পরিক মতভেদ দেখা দেয়।

আরো পড়ুন: এখন Twitter-র CEO এলন মাস্ক নিজেই, বো’র্ড মেম্বারসের করছেন ছাঁটাই

৩.রাহু-কেতুর মূর্তি :- রাহু ও কেতুকে সকল হিন্দু মানুষই ভয় পায়। তাদের দৃষ্টি থেকে সব সময় নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। তবে শুধুমাত্র নবগ্রহের পুজোর সময়েই বাড়িতে রাহু-কেতুর মূর্তির পুজো করা যেতে পারে। তবে নবগ্রহ ছাড়া শুধু মাত্র রাহু-কেতুর মূর্তি পুজো করা উচিত নয়। রাহু-কেতুর মূর্তি পুজো পরিবারের সদস্যদের লোকসান করাতে পারে।

৪. মহাকালীর বিগ্রহ :- মহাকালী আদিশক্তি দেবী পার্বতীর স্বরূপ। দৈত্যদের সর্বনাশ করার জন্য এই রূপ ধারণ করেছিলেন তিনি। আর তাই মনে করা রাগের মুদ্রার ছবি বা মূর্তি রাখলে পরিবারের সদস্যরাও কথায় কথায় রেগে যান। পরিবারে ঝগড়া, বিবাদ বাঁধে। তাই বাড়িতে শুধু সৌম্য মুদ্রার ছবি রাখা উচিত।

৫. শনিদেবের মূর্তি :- প্রায়ই শোনা যায় যেকোনো ঠাকুর বাড়িতে রাখলেও শনিবাবার পূজা করা বাড়িতে উচিত নয়। আসলে ন্যায় প্রদানকারী ও কর্মফলদাতা হলেন শনীদেব। কিন্তু তাঁর স্ত্রীর দ্বারা অভিশপ্ত হওয়ার পর তাঁর দৃষ্টি দোষযুক্ত হয়ে পড়ে। শাস্ত্র মতে শনি সবসময় বক্র দৃষ্টিতে দেখেন। তাঁর চোখের দিকে তাকালে ব্যক্তির ওপর অশুভ প্রভাব পড়তে পারে। তাই শনির পায়ের দিকে দেখে তাঁকে প্রমাণ করা উচিত। তাই বাড়িতে শনির মূর্তি রাখলে তাঁর দৃষ্টি পরিবারের সমস্ত সদস্যের ওপর থাকে বলে মনে করা হয় যা মোটেই শুভ সংকেত মনে করা হয় না। পরিবারের লোকসানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। শনীদেবের পূজা করা হলে মন্দিরে গিয়েই পূজা দিয়ে আসা হয়।