ইতিমধ্যেই এক বড় ধাক্কা খেয়েছে কেষ্ট, কারণ ইডি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি নিয়ে যাবে এমনটাই আদালতের তরফের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই দিল্লি নিয়ে গেলে অনেকটাই চাপের মুখে পরতে চলেছে অনুব্রত মন্ডল। তাই সেই দিল্লি যাওয়াএড়ানোর জন্যই অনেক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
গরু পাচার মামলায় ইডি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লির রাউস এভেনিউ কোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ পেয়েছে যে, তারা অনুব্রত মন্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। আর সেই কারণেই গতকাল মঙ্গলবার তারাহুড়ো করে কেষ্টকে কোর্টে তুলে হেফাজতে নিয়েছে দুবরাজপুর থানা।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নাকি এক পঞ্চায়েত প্রধানকে গলা টিপে খুনের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটা এতদিন পরে কেন? এই নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন আসলে খুন বা খুনের চেষ্টা করা মামলা কখনই তামাদি হয় না। অভিযুক্তের ওপরে যেকোনো স্ময় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব।
আরো খবর: বিশ্ব’রে’কর্ড করলেন ফুটবল ভ’ক্ত থিও, স্টেডিয়ামে বসে প্রতিটি ম্যা’চ দেখলেন তিনি
তবে পুলিশি হেফাজতে থাকলে ইডি তাকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে পারবে না। এই পুলিশি হেফাজত যে একটা কৌশল সেটা আইনজীবীরা বুঝতে পেরেছে। খুনের চেষ্টা করা হয়েছে ২০২১ সালে, কিন্তু দিল্লি যাওয়ার নাম শুনেই এখনি কেন পুলিশ তাকে হেফাজতে নিল? সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে যে দিল্লি যাওয়া আটকানোর জন্যই এই ধরনের কারসাজি।
কিন্তু আইনজীবীরা মনে করছে, এতে লাভের লাভ তেমন একটা হল না, কারণ ইডির আরও সুবিধা করে দেওয়া হল। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী নীলাদ্রীশেখর জানিয়েছে, ইডি এবার এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে কোর্টে যেতে পারে, আর বলতে পারে অনুব্রত যে প্রভাবশালী। এটাও বলা যেতে পারে যে অনুব্রত কে ঠেকাতে রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসনও ততপর।
এখানেই শেষ নয় কারণ এই কৌশল যে কেষ্টর আরও মাথা ব্যাথার কারণ হবে, সেটা এখনই অনুমান করছে আইনজীবীরা। ইডি বারবারই প্রমাণ করতে চাইছে যে অনুব্রত প্রভাবশালী। আর সেই কারণেই ভবিষ্যতে অনুব্রত মন্ডলের জামিনেও ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করছে আইঞ্জীবীদের একাংশ।