বলিউডে ৯০ এর দশকে যত গুলি সুন্দরী অভিনেত্রী ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলো দিব্যা ভারতী। বলিউডপ্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে ৯০ এর দশকের এই সুন্দরী অভিনেত্রীকে দেখেননি বা তার নাম শোনেননি এটা হতেই পারে না। দিব্যা ভারতী তার সময়ের সমস্ত অভিনেত্রীদের থেকে এগিয়েছিলেন তার রূপে ও অভিনয় দক্ষতার দিক থেকে।
তিনি বলিউডে আসার পর অনেক নায়িকারই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। কারণ একের পর এক প্রজেক্ট দিব্যা পাচ্ছিল। কিন্তু তার এই সাফল্য বেশিদিন সে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। একটা দুর্ঘটনায় সবটা শেষ হয়ে যায়। দিব্যা ছিলেন অনেকটা ঠিক বলিউডের আকাশে ধূমকেতুর মত।
তিনি সব তিনটি বছর বলিউডে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু খুব কম বয়সে তার প্রয়াণ ঘটে। তাও আবার দুর্ঘটনাজনিত কারণে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে এক পাঁচ তলা বিল্ডিংয়ের বারান্দা থেকে নিচে পড়ে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু নিয়ে অনেক জল্পনা রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। কেউ কেউ বলেন তার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।
দিব্যার মৃত্যুর পেছনে অনেকে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছিলেন। সরাসরি অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছিল তার স্বামীর সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার দিকে। অভিযোগ ওঠে তিনিই নাকি সেদিন ধাক্কা মেরে দিব্যাকে খোলা বারান্দা থেকে নিচে ফেলে দেন। কিন্তু সেই রহস্য আজও রহস্যই থেকে গেছে।
তার মৃত্যুর আসল কারণ আজও জানা যায়নি। কিন্তু তিনি আজও বেঁচে আছেন তার কোটি কোটি ভক্তের মনে। ১৬ বছর বয়সে কেরিয়ার শুরু করে তিন বছরে তিনি যত সংখ্যক ছবিতে অভিনয় করেন তা একটা রেকর্ড বলা যেতে পারে। ১৯৯০ সালে তেলেগু ছবি বব্বিলি রাজা দিয়ে শুরু হয়েছিল তার কেরিয়ার।
১৯৯২ সালে তিনি বিশ্বাত্মা ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন। এরপর দিওয়ানা এবং শোলা অর শবনম ছবিতে অভিনয় করে তিনি এতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন যে তাকে ঘুরে তাকাতে হয়নি। শুধু তাই নয় যে সময় তার মৃত্যু হয় সে সময় অন্তত দশটি ছবির শুটিংয়ের কাজ চলছিল। কিন্তু তারপরেই তার মৃত্যুর খবর আসে।
দিব্যার মৃত্যুর পর তার অভিনীত শেষ ছবি ‘রং’ এর ট্রায়ালের সময় ঘটে যায় এক অদ্ভুত ঘটনা।এমন অলৌকিক ঘটনায় সেই সময় অনেকেই ভয় পেয়েও যান। ‘ রং’ ছবিতে দিব্যার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন এক সহ অভিনেত্রী আয়েশা জুলকা।
তিনি একটি সাক্ষাৎকারে একবার বলেন দিব্যার মৃত্যুর পর যখন ছবি ট্রায়াল চলছিল তখন এক ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে। ট্রায়ালের সময় যখনই দিব্যা স্ক্রিনে আসেন ঠিক তখনই স্ক্রিনটা ভেঙে পড়ে। এতে উপস্থিত সকলেই খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।
যে এই সময়ই কেনো এভাবে স্ক্রিন টা ভেঙে পরে গেলো। আর তাই সেই দিনটার কথা কোনদিনও ভুলতে পারবেন না বলছেন আয়েশা। শুধু আয়েশা কেনো কারো পক্ষেই ভোলা তাঁকে সম্ভব নয়। আজও পুরনো দিনের তার ছবির গান গুলো বাজলে সকলেই তার অনুপস্থিতিটা ফিল করতে পারে।
