সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মনিপুর থেকে ড্রাম ভ’র্তি করে কি আসতো? বর্ধমানের বাবরের কা’হি’নী নি’লো নতুন মো’ড়

বর্তমানে এক কেজি পোস্ত আঠার দাম ১২ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। তাই অল্প জমিতে পোস্ত চাষ করেই বহু টাকা রোজগার করেছিল বর্ধমানের বাবর মণ্ডল। গোপনে পোস্ত চাষ শুরুর পর ধাপে ধাপে হেরোইন কারখানার মালিক হয়ে উঠেছিল বাবর মণ্ডল। সেই কারবার থেকেই সে রাতারাতি বহু কোটি টাকার মালিক হয়ে গিয়েছিল। সেই টাকার বেশিরভাগটাই ব্যাংকে না রেখে বাড়ি জমি কেনার কাজে খরচ করেছিল বাবর মণ্ডল ও তার ছেলে রাহুল।

রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের তদন্তকারী আধিকারিকরা মাদক কাণ্ডের তদন্তে নেমে এই সব তথ্য জানতে পেরেছে। বুধবার তারা বর্ধমানের বাবর মণ্ডলের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ অভিযান চালায়। সেই অভিযানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও জমির দলিল মিলেছে। বাবর মণ্ডল ও তার ছেলে রাহুল বর্ধমান শহর লাগোয়া গোপালনগরে হেরোইন তৈরির কারবার ফেঁদেছিল। মণিপুর সহ বাইরের রাজ্য থেকে পোস্তর খোলা, পোস্তর আঠা ও রাসায়নিক নিয়ে আসা হতো। সেইসব মিশিয়ে এই কারখানায় তৈরি হতো হেরোইন।

এরপর তা বিভিন্ন হাত ঘুরে এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ও অন্যান্য রাজ্যে চড়া দামে বিক্রি করা হতো। ভৌগলিক অবস্থানগত সুবিধার কথা ভেবেই গোপালনগরকে কারখানা তৈরির জন্য বেছে নিয়েছিল তারা। জাতীয় সড়ক খুব কাছে হওয়ায় এখানে কাঁচামাল নিয়ে আসা এবং তৈরি হওয়া হেরোইন পাচার করে দেওয়া বেশ সহজ ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই কারবার এখানে চালানো হচ্ছিল।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মঙ্গলকোটে জমি রয়েছে বাবর মন্ডলের। বছর দশেক আগে সে সেখানে গোপনে পোস্ত চাষ শুরু করে। ছ সাত বছর সেখানে সে পোস্ত চাষ করেছিল। তার থেকে মোটা টাকা আয় হয় তার। হেরোইন কারবারিদের কাছে সে নিয়মিত পোস্তর খোলের আঠা সরবরাহ করত।