সকালবেলা সোশ্যাল মিডিয়াতে শোনা গেল একটি বড়সড় খবর। এই খবরের ফলে রীতিমতো উত্তাল হয়ে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া। সাতসকালে বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান এবং তার স্ত্রী কিরণ রাও জানিয়ে দেন, দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে চলেছেন তারা। এই বিবৃতিতে আমির খান এবং কিরণ রাও এও জানিয়েছেন যে, এই সিদ্ধান্ত একেবারেই আচমকা নেননি তারা। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল ডিভোর্সের। যদিও আলাদা থাকলেও ছেলের প্রতি সমস্ত দায়িত্ব পালন করবেন তারা, একথাও তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবেই এই বিবাহ বিচ্ছেদের খবর পাওয়ার পর বলিউডে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। কি কি কারনে এত বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে চলেছেন তাঁরা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সকল মহলে। কিন্তু এর মধ্যেই চোখে পড়েছে আমিরের দাঙ্গাল ছবি থেকে বলিউডে পা রাখা নবাগত অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের দিকে। অনেকেই মনে করছেন যে, অভিনেত্রী ফাতিমার প্রতি আমিরের দুর্বলতাই নাকি পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ ভাবে সাহায্য করেছে এই ডিভোর্সের জন্য।
এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রীকে নিয়ে রীতিমতো উপহাস করা শুরু হয়ে গেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ইতিমধ্যেই অনেকে ভেবে নিয়েছেন এবার বোধহয় অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন আমির খান। যদিও এই গুঞ্জন একদিনে হয়নি। দাঙ্গাল ছবির মাধ্যমে এই অভিনেত্রীকে সুযোগ দিয়েছিলেন আমির খান।
প্রথম অডিশন দেখেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, ফাতেমাকে দিয়ে দঙ্গল ছবিতে অভিনয় করানো যাবে। বলিউডের নানা পার্টি তে এমন কি আমির খানের হাত ধরে বহু জায়গায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে এই অভিনেত্রীকে। তবে গুঞ্জন বড় আকার ধারণ করে ঠগস অফ হিন্দুস্তান, ছবিতে ফতিমার সুযোগ পাওয়ার পর। বহু প্রযোজক এবং পরিচালক কে ফোন করে এই সিনেমাতে ফতিমাকে সুযোগ দেবার কথা বলেন আমির খান। যদিও আমির খান এই ব্যাপারে কখনো কোনো কথা বলেনি। তবে ফাতিমা একবার বলেছিলেন, আমিরকে আমার ভালো লাগে, যদিও আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক নেই। আমির কে আমি আমার জীবনের মেন্টার হিসেবে দেখি।