সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কো’ভি’ডে’র ওষুধ মজুদ রাখতেন দেবাঞ্জন! এখনো ২৬ লক্ষ টা’কা ব’কে’য়া আছে ট্যাংরার এক ও’ষু’ধ ব্যবসায়ীর

সময় যত এগোচ্ছে কসবা বিধানসভা কেন্দ্রের জাল আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগের তালিকা ততই দীর্ঘ হচ্ছে। এবার দেবাঞ্জন এর বিরুদ্ধে করোনার ওষুধ, এবং স্যানিটাইজার মাস্ক কেনা বাবদ ২৬ লক্ষ টাকা দেন আর অভিযোগ তুললেন কলকাতার একজন ওষুধ ব্যবসায়ী। তার অভিযোগ করোনার ওষুধ মাস্ক এবং স্যানিটাইজার কেনা বাবদ তিনি প্রচুর টাকা পাবেন অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের থেকে। সব মিলিয়ে যা প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার সামগ্রী।

২০২০ সালে তালতলায় একটি অনুষ্ঠানে ওই ঔষধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেবাঞ্জনের আলাপ হয় বলে জানা যাচ্ছে। সেই সময় তিনি নিজেকে পুরসভার আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীর কাছে। মাস্ক এবং স্যানিটাইজারসহ করোনার ওষুধ ওই ব্যবসায়ীর থেকেই সংগ্রহ করতেন দেবাঞ্জন। বেশ কয়েকবার তার থেকে সামগ্রী কিনেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যবসায়ী। বিল মেটানোর নাম করে কলকাতা পুরসভার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে তাকে দুটি চেক পাঠানো হয়েছিল।

ওষুধের টাকা বাবদ ৮০ হাজার টাকার চেক এবং এক লক্ষ ৫১ হাজার টাকার দুটি চেক পেয়েছিলেন ঐ ব্যক্তি। এখনো ২৬ লক্ষ টাকা পাবেন ওই ওষুধ ব্যবসায়ী। তবে ওই ওষুধ বিক্রেতা একা নয়, আরো বহু ব্যবসায়ীর থেকেই এই ভাবে প্রচুর টাকা তুলেছেন দেবাঞ্জন। তারা প্রত্যেকেই পুলিশের কাছে এসে অভিযোগ জানিয়ে যাচ্ছেন। ওই ওষুধ বিক্রেতার দাবি, দীর্ঘদিন আগেই ওষুধের টাকা চেয়ে দেবাঞ্জনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে তিনি প্রত্যেক বার কোনো না কোনো টালবাহানা করে তা এড়িয়ে গিয়েছেন।

ওই ব্যবসায়ী আরও জানিয়েছেন, টেন্ডারের নাম করে তার থেকে করোনার ওষুধ, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার জোগাড় করতেন দেবাঞ্জন। তারা সেই টেন্ডার অনুযায়ীই সামগ্রী তুলে দিতেন দেবাঞ্জনের হাতে। দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আরো বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী তুলেছেন। বর্তমানে সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা।