ঘুড়ির সুতো গলায় জড়িয়ে গুরুতরভাবে আহত হন পথচারীরা। ইদানিং এমন খবর প্রায়ই শোনা যাচ্ছে। এবার ঘুড়ির সুতোর আঘাতে গলা কেটে গেল এক জোমাটো ডেলিভারি বয়ের। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় একটি হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় ওই যুবকের কাজের ক্ষতি হতে পারে ভেবে একজন পুলিশ নিজে থেকে গ্রাহকের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন।
পুলিশের এমন মানবিক দিকের পরিচয় পেল উত্তর চব্বিশ পরগণার নিমতা। যেখানে নিত্যদিন পুলিশের সম্পর্কে কত অভিযোগ, খারাপ আচরণের অভিযোগ ওঠে সেখানে এই ঘটনা সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক। বিশিষ্ট সুত্রে খবর ওই যুবক দক্ষিনেশ্বর থেকে খাবার নিয়ে নিমতা মাঝেরহাট এলাকার এক ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। মাঝ পথে আচমকা ঘুড়ি সুতো জড়িয়ে যায় তার গলাতে। সুতোয় তার গলা চিরে যায়। রীতিমতো রক্তাক্ত হন তিনি।
অন্যান্যবারের আরোহীরা বিষয়টি দেখে সঙ্গে সঙ্গে নিমতা ট্রাফিক গার্ডের কর্তব্যরত কনস্টেবল সুজয় বিশ্বাসকে খবর দেন। তিনি এসে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যান। নিমতা ট্রাফিক গার্ডের ওসি সঞ্জীব নস্করও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আহত ওই যুবককে উত্তর দমদম পৌর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তারা। তবে ওই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালের বেডে শুয়েও কাজের চিন্তা করছিলেন ওই ডেলিভারি বয়।
আহত ওই ডেলিভারি বয় সন্দীপ রায় ঠিক সময় মত গ্রাহকের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে না পারলে কাজ চলে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। তার পরিস্থিতি বুঝতে পেরে সুজয় বিশ্বাস নামের ওই কনস্টেবল সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি সন্দীপের কাছ থেকে ক্রেতার বাড়ির ঠিকানা নিয়ে নিজে থেকে ক্রেতার বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে খাবার তুলে দেন।