সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মাধ্যমিকের কৃতিরা সকলেই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে চায়! কখনই সেনায় যোগদানের কথা বলেন না!

জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক, এই পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে একাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের মনে আগামী জীবনে কী করবে সে নিয়ে নানান প্রশ্ন ওঠে। জীবনের এই বড় পরীক্ষার পরেই এক জন ছাত্র-ছাত্রীকে সঠিক পথ বেছে নিতে হয় যে পথের মাধ্যমে তারা আগামী দিনে কিভাবে নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং কোন দিকটাকে তারা পেশা হিসেবে বেছে নেবে সেটার উপর নির্ভর করে মাধ্যমিক পরীক্ষার পরের শিক্ষাগত যোগ্যতা।

শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় যেখানে কেন্দ্র করে উঠে এসেছে আগামী ভবিষ্যতের প্রজন্মরা, যারা একটা সময়ে দেশেরই নানান কাজে নিজেদের শিক্ষাকে কাজে লাগাবে।

চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে ৭৯ দিনের মাথায়, এবারের পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ৪৯ হাজার ৯২৭ জন। পরীক্ষার পাশের হার এবছর ৮৬.৬ শতাংশ, তবে এবারের সাফল্যের ক্ষেত্রে ছাত্রীরা অনেক অংশেই পিছিয়ে রয়েছে।

আরো পড়ুন: ১৫ আগস্টের আগেই ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির ৩০ ফুট মূ’র্তি বসবে, জোরক’দ’মে চলছে কাজ

চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে ১০ লক্ষ ৯৮৭৬৫ জন,এই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৫৯ জন ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০৪ জন।

স্বাভাবিকভাবেই এত জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে যখন সেরা দশের তালিকাকে প্রথম খবরের পাতায় আনা হয় তখন তাদের পড়াশুনা বিষয়ে নানান প্রশ্ন করা হয়, সেই সমস্ত প্রশ্ন গুলো যাতে আগামী দিনের নতুন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা অনেক বিষয়ে জানতে পারে।

তবে বিশেষ ক্ষেত্রে যারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা থেকে উতরে যায় এবং পরবর্তী পদক্ষেপে পা বাড়ানোর জন্য তৈরি হন, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে যে তারা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের দিকে ঝুঁকেছে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে তাদের প্রত্যেকেরই আশা আকাঙ্ক্ষা থাকে ভবিষ্যতে যেকোনোভাবে ডাক্তারি লাইনে অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে যেতে।

তবে প্রশ্ন যে, কেন কোনো ছাত্রছাত্রী চান না দেশের কোন কাজের সরাসরি নিযুক্ত হতে? এই প্রশ্নটার সত্যিই একটি বড় প্রশ্ন কারণ প্রত্যেকে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল দেখে থাকি যে দেশের প্রতি নানান ভক্তি এবং যেটা আমরা করে থাকি, কিন্তু সরাসরি কেউ দেশের কাজে আমরা এগিয়ে যাই না।

ছাত্র-ছাত্রীদের মুখে আজ পর্যন্ত বিশেষ করে শোনা গেল না যে তারা নয় বিএসএফ নয়তো দেশ রক্ষার খাতিরে কোন পুলিশ অফিসার পদের জন্য নিজেকে তৈরি করতে চান।

একজন জওয়ান যেভাবে আমাদের দেশকে রক্ষা করেন সীমান্তে পাহারা দিয়ে, সেটা আমরা সকলেই হয়তো জানি কিন্তু তাদের কষ্টের কথা আমরা অনেকেই অনুভব করতে পারিনা। সকলেই চায় দিনের শেষে নিজের বাড়িতে আরামের দিন কাটাতে ।

সত্যি হয়তো কোথাও না কোথাও এই ডাক্তার- ইঞ্জিনিয়ার ভাবনাচিন্তা আটকে গেছে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার এর মধ্যেই, হয়তো সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বাবা মা ও চায় তাদের সন্তানদের ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার রূপে দেখতে।