পরভিন ববির চেহারার সঙ্গে তার চেহারার অদ্ভুত মিল রয়েছে। তিনি হলেন নবীন প্রজন্মের বলিউড অভিনেত্রী দীপশিখা নাগপাল। ছোটপর্দায় এবং বড় পর্দায় মিলেমিশে কাজ করেন দীপশিখা। আর্থিক দিক দিয়েও তিনি যথেষ্ট সচ্ছল। তবুও স্বামীর থেকে মাত্র ৫০০ টাকা পাওয়ার জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
দীপশিখা নাগপাল এর বাবা ছিলেন বলিউডের পরিচালক এবং অভিনেতা। তার মা-ও একজন অভিনেত্রী। অতএব ছোটবেলা থেকেই তিনি তারকা পরিবারেই মানুষ। তবে অভিনয় প্রতি তার কোনদিনও কোন টান ছিল না। বরং তার বোন অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন। সেই কলেজে পড়ার সময়ে একটি ফ্যাশন কনটেস্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে গ্ল্যামার দুনিয়ায় পা রাখেন তিনি। তারপর থেকেই তিনি মডেলিংয়ের জন্য ডাক পেতে শুরু করেন।
এর পরেই বলিউডে কাজ করার সুযোগ জুটে যায় দীপশিখার। এমনকি রাকেশ রোশান পরিচালিত করণ-অর্জুন ছবিতে মমতা কুলকার্নির জায়গায় তাকে সুযোগ দিতে চেয়ে ছিলেন পরিচালক। দীপশিখা সেই অফার ফিরিয়ে দেন। এটাই তার ক্যারিয়ারের সবথেকে বড় ভুল। তবে শাহরুখের সঙ্গে কয়লা ছবিতে অভিনয় করেছেন দীপশিখা। ছোটপর্দার শক্তিমান ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন তিনি।
জিত উপেন্দ্র নামের এক দক্ষিণী অভিনেতাকে বিয়ে করেন দীপশিখা। তবে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায় দশ বছর পরেই। এরপর বলিউড অভিনেতা কেশব অরোরাকে বিয়ে করেন দীপশিখা। তবে সেই সম্পর্ক খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়। দীপশিখার বাড়িতে কেশবের কিছু জামাকাপড় ছিল। সেই জামা কাপড় আনার জন্য তার বাড়িতে যান কেশব। তবে তার কাছে সে সময় কোন প্যাকিং ব্যাগ ছিল না। তাই দীপশিখার কেনা বিছানার চাদরেই সমস্ত কিছু প্যাকিং করে নিয়ে যান কেশব। সেই চাদরের দরুন ৫০০ টাকা পাওয়ার জন্যেই স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এই ঘটনা বলিউডকে অবাক করে দিয়েছিল।
